নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথম দফার ভোট নির্বিঘ্নে মিটলেও, দ্বিতীয় দফার ভোটে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো বাংলার চারটি জেলায়। গতকাল সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হতেই বেশি কিছু আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কমিশনের তরফে পাওয়া সেই তথ্য বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় ৮০.৪৩ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে কোতুলপুরে। সেখানে ৮৭.২১ শতাংশ ভোটার ইভিএমে বোতাম টিপে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। অন্যদিকে, সবথেকে কম ভোট পড়েছে খড়গপুর সদরে। সেখানে ৬৮.৩৩ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। এদিকে, রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশেও বহু চর্চিত নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮০.৭৯ শতাংশ।

গতকাল, দ্বিতীয় দফায় ছিল বাংলার ৪টি জেলার ৩০টি আসনে। দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রায় ৭ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। এই পরিসংখ্যান বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত এবং নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া। দ্বিতীয় দফায় যেখানে যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানে গত বার বিধানসভা ভোটের তুলনায় এবার সবথেকে কম ভোট পড়েছে নারায়ণগড়ে। সেখানে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১৬.৮ শতাশ ভোট কম পড়েছে। নন্দীগ্রাম কেন্দ্র ৬.১৪ শতাংশ ভোট কম পড়েছে।

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯টি, বাঁকুড়ার ৮টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯টি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৬ লক্ষ। মোট পোলিং বুথের সংখ্যা ১০,৬২০। প্রথম দফায় ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। এবারও সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে এলাকার ভোটারদের লম্বা লাইন। পশ্চিমঞ্চলের জেলাগুলিতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা সত্বেও বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরের বুথ গুলিতে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।

যেহেতু, এবছর করোনা আবহের মধ্যে ভোট, সেই কারণে ভোটারদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস বিতরণ করা হয়েছে। করোনা বিধি মেনে বুথে বুথে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল সব বুথেই। রয়েছে রাজ্য পুলিশ। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার ভোটে বুথ গুলিতে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ২১ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৬ হাজার রাজ্য পুলিশ। সব কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। বিশেষ করে নন্দীগ্রামের সব বুথই স্পর্শকাতর হওয়ায় সেখানে নিরপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছিল।