ঘুমতে কে না ভালবাসে। কাজের ফাঁঁকে ফুরসত পেলেই গা এলিয়ে নেওয়া কর্মব্যস্ত মানুষের জীবনে রোজকার রুটিনের মতো। অনেকে আবার দুফুরে খাবার পর জমিয়ে ভাত ঘুম দিতেও দিব্য পছন্দ করে, কেঊ আবার নরম বিছানা পেলেই শুয়ে পরে। আরামপ্রিয় মানুষের কাছে এই ঘুম বিষয়টি অত্যন্ত ভালবাসার মুহুর্ত। আবার অনেকেই কাজ করে অত্যন্ত ক্লান্ত হলে রাতের দিকে শরীর কে বিশ্রাম দেন। ঘুম সব মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুতবপুর্ন। জল ো খাদ্য ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারবে না। তাই বিনা ঘুমে মানুষ বেশী দিন থাকতে পারবে না। শরীরে ক্লান্তিভাব সমেত আরও অনেক রোগের  সৃষ্টি হতে পারে। তাই দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। কিন্তু এখানেও কিছু সমস্যা আছে। সব বিষয়েরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে তেমনই ঘুমানোর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নেই। ঘুমানোরও কিছু নিদির্ষ্ট ভঙ্গী আছে। যেই ভঙ্গীতে না ঘুমালে আপনার শরীরে সৃষ্টি হতে পারে অজানা রোগ।তাই জেনে নিন কোন ৫ ভাবে ঘুমোলে আপনার জীবনে আসতে পারে বিপদ।

যে পাঁচভাবে ঘুমানো উচিৎ নয়

উত্তর দিকে মাথা করে শোবেন না

উত্তর দিক হল মাধ্যাকর্ষন শক্তির দিক , যা পৃথিবীর সকল বস্তুকে নিজের দিকে আকর্ষন করে। তাই উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শুলে আমাদের শরীরের মধ্যে যদি কোন লৌহ পদার্থ, আয়রন জাতীয় কিছু থাকে সেটিকে আকর্ষন করতে চাইবে ফলে শরীরের রক্ত উপরের দিকে  উঠতে পারে।  আমাদের মশ্তিষ্কে রক্ত কনা গুলি এতই সুক্ষ যদি সেগুলি উপরের দিকে ওঠে তাহলে রক্ত সংবহন্তন্ত্রে  রক্তক্ষরন হতে পারে, মাথায় অতিরিক্ত রক্ত চলাচল হয় যা হওয়া কোনভাবেই উচিৎ নয় । এর থেকে স্ট্রোক অবধি হতে পারে। এছাড়া ঘুমের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়, বিভিন্ন অদ্ভুত দুঃ স্বপ্ন দেখা যেতে পারে যা আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এমনকি এসব দীর্ঘদিন ধরে ঘটার ফলে ঘুমের মধ্যে মারাও যেতে পারে।  

ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমাবেন না

যতটা পারবেন ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন। এতে হৃদপিন্ডের উপর প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এমনকি  হৃদপন্ডে ভালোভবে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একপাশ হয়ে ঘুমাবেন না

একপাশ হয়ে ঘুমলে সেই হাতের, বা শরীরের সেই দিকটির রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে । হাত দেহের চাপে সেই দিকটি অবশ হয়ে যায়।  ফলে বাজে অনুভূতি নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে হয়। যে পাশ বিছানায় থাকে সেই পাশের রক্তবাহী শিরা-উপশিরা চাপের মুখে থাকে ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এভাবে শোয়ার কারণে এসিড রিফ্লাক্স এবং হার্টবার্নের সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া হজমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

পেট ঠেকিয়ে না শোয়া

এইভাবে ঘুমালে আমাদের ঘাড় ও মাথা ৯০  ডিগ্রী এঙ্গেলে থাকে যাতে ঘাড়ে ব্যাথা হয় মাথায় রক্ত চলাচল হয় না। বালিশের কারণে  মাথা ঘাড়  বেশ উচুতে থাকে এতে এবং মেরুদন্ড নিচে থাকে ফলে মেরুদন্ডে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের জন্যে এটা সবচেয়ে বাজে পদ্ধতি। কারণ দেহের পেছনটা কিছুটা ভেতর দিকে বেঁকে যায়। মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার কারণে কশেরুকায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। একইভাবে দীর্ঘ দিন ঘুমালে কোমরের ব্যথা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

চিত হয়ে  না ঘুমানো

সকলের জন্য ঘুমানোর এই ভঙ্গী ক্ষতিকর না হলেও  কারো কারো জন্যে এ পদ্ধতিতে শোয়া ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এ ভঙ্গীতে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের পথ ন্যূনতম মাত্রায় কাজ করে। কাজেই এতে নাক ডাকানোর মতো ঘটনা ঘটে। ধীরে ধীরে স্লিপ অ্যানিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় দম আটকে আসতে পারে।