নিজস্ব সংবাদদাতা- ফের রাহুল গান্ধীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন মহারাষ্ট্রের দলিত নেতা রমদাস আটাওয়ালে। তার দল আইআরপি কেন্দ্রে এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনিই একমাত্র শরিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন। সামাজিক ন্যায় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এর আগেও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন। এবার তিনি রাহুল গান্ধীকে অবিবাহিত জীবন পরিত্যাগ করে বিয়ে করে ‘হাম দো, হামারা দো’ নীতি পালনের পরামর্শ দিলেন।

কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে একসময়ের পরিবার পরিকল্পনা নীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হাম দো, হামারা দো জনপ্রিয় স্লোগানটি ব্যবহার করেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার দুজনে মিলে চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও দু’জন জুড়ে আছে।” নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের পাশাপাশি দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতির দিকেই যে তার কটাক্ষের ইঙ্গিত ছিল সেটি সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাকে তীব্র কটাক্ষ ভরিয়ে দেন। সীতারামন বলেন, “হাম দো, হামারা দো মানে আমরা দু’জন মিলে দল চালাচ্ছি। সঙ্গে আরও দু’জনের সবকিছু দেখভাল করতে হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এইকথার মধ্য দিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ও রবার্ট বঢরার কথা যে বোঝাতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পর রাহুলের কটাক্ষের পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন রমদাস আটাওয়ালে। এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হাম দো, হামারা দো নিয়ে কিছু বলার আগে রাহুল গান্ধীর উচিত বিয়ে করা। তারপর পরিবার পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে গোটা বিষয়টি বাস্তবায়িত করে মানুষকে দেখানো উচিত। সেইসঙ্গে দলিত পরিবারের কোন নারীকে বিবাহ করে দেশের মানুষের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। উনি যদি এটা করেন তবে দেশের যুব সমাজ দলিত মহিলাদের বিয়ে করার দিকে অগ্রসর হবে, মহাত্মা গান্ধীর জাতপাত হীন সমাজের আদর্শ দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

রমদাস আটাওয়ালে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনিই প্রথম ‘গো করোনা, গো’ স্লোগানটি তুলেছিল সাড়া ফেলে দেন।