নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে তিনি জিতেছিলেন প্রায় ১২ হাজার ভোটে। আর লোকসভা ভোটে তৃণমূল এগিয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে। লোকসভা ভোটের সেই ব্যবধানকে মাপকাঠি ধরলে নিশ্চিন্তেই থাকার কথা তৃণমূলের। কিন্তু কতটা নিশ্চিন্তে আছেন কসবার দু’বারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান? তিনি বললেন, ‘‘একদম নিশ্চিন্ত।’’ দু’বারের বিধায়ক, রাজ্যে মন্ত্রী আর শক্তিশালী নেতা স্বাভাবিক ভাবে যোগ করলেন, ‘‘শুধু জিতব না। এ বার জিতব দ্বিগুণ ব্যবধানে।’’

আগের ভোটগুলির যা পরিসংখ্যান, সেদিক থেকে জাভেদের অবস্থানে কোনো বদল হয়নি। বরং তৃণমূলের বিরোধী শিবিরে বাম ও বিজেপির বিন্যাসে বদল হয়েছে। সে দিক থেকে এবারে কসবার নির্বাচনে জিততে গেলে সিপিএম তথা সংযুক্ত মোর্চাকে হাওয়া যতটা নিজেদের দিকে ঘোরাতে হবে তা জাভেদের থেকে অনেক বেশি। উল্লেখ্য, এই কসবা অঞ্চল একসময় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল। সাংগঠনিক শক্তির সেই ছাপ এখনও রয়েছে এই বিধানসভার দু’টি ওয়ার্ডে। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালে কসবায় দলের ছাত্রনেতা শতরূপ ঘোষকে প্রার্থী করে ফল পেয়েছিল বামেরা। কিন্তু গত তিন বছরে এখানকার বিরোধী ভোটের চেহারা একেবারে বদলে গিয়েছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে যে বিজেপি মাত্র সাড়ে ১৭ হাজার ভোট পেয়েছিল, তারাই গত লোকসভা নির্বাচনে ৬৩ হাজার ভোট পেয়ে সেখানে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে এবং সহজ অঙ্কেই দেখা যাচ্ছে বামেদের ভোটই গিয়েছে বিজেপির দিকে। এই যাওয়া আসার ফলে কি কসবার ভোটের ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে? বিজেপি কি বিরোধী ভোট আরও বেশি টানতে পারে তাদের দিকে? জীবনের প্রথম নির্বাচনে এই অঙ্কে খুব একটা ঢুকতে চাইছেন না বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী ইন্দ্রনীল খান। তিনি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা থেকেই এ বার তৃণমূলের বদলে বিজেপিকে বেছে নেবে মানুষ। নাগরিক পরিষেবা নেই। বেআইনি নির্মাণ, দাদাগিরি, সিন্ডিকেট আছে। এ সবের সামনে কোনও অঙ্ক কাজ করবে না।’’

এদিকে, সিপিএমও চাইছে নিজেদের ভোট ঘরে ফেরাতে এবং অবশ্যই এই কেন্দ্রে শতরূপের জয় নিশ্চিত করতে। কসবায় প্রচারে এসে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তাঁর প্রত্যাশার কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, শতরূপদের প্রজন্মকে প্রার্থী করার পিছনে তাঁদের প্রত্যাশা কী। সিপিএম প্রার্থী শতরূপের কথায়, ‘‘এ বার কসবায় আমরা জিতছি। এটা নিশ্চিত। ২০১৬ সালের নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে গায়ের জোর আর ধর্মকে ব্যবহার করে জিতেছিল তৃণমূল। তবে এবার আর কোথাও ছাপ্পা দিতে দেব না।’’