পা ফাটা নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভোগান্তি চিরকালের। এবার নভেম্বর মাসের গোড়ার দিক থেকেই শীতের আমেজ অনুভব করা যাচ্ছে। অল্প অল্প ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে চাদর, জ্যাকেট, টুপি, মাফলার, কার্ডিগান। শীতে শরীর ঠিক রাখার জন্যেও কিন্তু রয়েছে নানান রকমের উপকরণ। তবে ত্বকের জন্য লোশন, ঠোঁটের জন্য নানান বাম বা ক্রিম এই সমস্ত জড়ো করার সময়ে আমরা অনেকেই কিন্তু একটা বিশেষ দিকে নজর দিতে ভুলে যাই। সেটা হল আমাদের পা। শীতের সময় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের পায়ের গোড়ালি। ফাটা, চামড়া ওঠা, এবড়োখেবড়ো পা যেমন চোখে দেখতে ভালো লাগে না, তেমনই শরীরের জন্যেও তা কিন্তু ভীষন ক্ষতিকর। অথচ খুব সহজেই এই সমস্যারও সমাধান করে ফেলা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিয়মিত খেয়াল রাখার।
পা ফাটা সারাতে পাকা কলা
https://www.bebeautiful.in/all-things-skin/skin-concerns/crack-heel-home-remedies
জন্য ভীষন উপকারী। একটি পাকা কলা চটকে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট পায়ে লাগিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দু থেকে তিনবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে পায়ের ফাটার সমস্যা ক্রমশ কমে যাবে।
শীতকালে তেল মালিশের কথা তো আমরা সবাই জানি। পায়েও সাদা তেল, বা ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত লাগালে গোড়ালি মসৃন হয়। ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব তাড়াতাড়ি। পায়ের জন্য বিশেষ করে নারকেল তেলের মালিশ ভীষণই উপকারী।
গরম জলে আপেল সিডার ভিনিগার আর এপসম সল্ট দিয়ে তাতে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে মরা কোষ কিছুটা আলাদা হয়। আর ফাটা গোড়ালির সমস্যা এই পদ্ধতিতে অনেকটাই নিরাময় হয়। সপ্তাহে দুদিন এই মেথড apply করা উচিত।

পায়ের মরা কোষ জমে গিয়ে পা ফাটার সমস্যা শীতকালে অনেকটাই বেড়ে যায়। এটা আটকাতে পিউমিস স্টোন দিয়ে কিছুদিন অন্তর অন্তর পা ঘষা খুব জরুরি। ঘষার পর মরা কোষ উঠে গেলে পা ধুয়ে নিয়ে জোজোবা বা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে নিলে পা ফাটার সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়।
শীতকালে যেমন শরীর ঠিক রাখার জন্য সোয়েটার, সর্দি থেকে বাঁচার জন্য টুপি বা মাফলার পরা হয়, তেমনই ঠান্ডার হাত থেকে পাদুটো রক্ষা করার জন্য নিয়মিত মোজা পরা ভীষন দরকারি। আজকাল খুব ভালো ভালো সুতির মোজা বাজারে পাওয়া যায়, যা পায়ের কোনও রকম ক্ষতি না করেই সবরকম সমস্যার হাত থেকে বাঁচায়।

শীতের সময় জল অনেকটাই কম কম খাওয়া হয় আমাদের সবারই। কিন্তু তা শরীরের পক্ষেও যেমন ক্ষতিকর, জল কম খেলে পাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস ইত্যাদি খেলে আর সিলিকন হিলের জুতো ব্যবহার করলে পায়ের জেল্লা বৃদ্ধি পেতে বাধ্য!
ফাটা পা সারানোর জন্য শিয়া বাটার ম্যাজিকের মতন কাজ করে। একদিন অন্তর অন্তর গরম জলের পাত্রের উপর রেখে গলানো শিয়া বাটার পায়ে মালিশ করলে পা শুধু মসৃনই হয় না, দেখতেও হয় ঝকঝকে।

ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি শীতকালে পায়ের ঠিকঠাক যত্ন নিলে পা ফাটা একেবারে কমে যাবে, পা হবে জেল্লাদার ঝকঝকে, আর গোড়ালি হবে সুন্দর। যদি পায়ের যত্ন নিতে আরও কোনও উল্লেখযোগ্য ঘরোয়া উপায় জানা থাকে তবে আমাদের কমেন্ট সেকশনে অবশ্যই জানান।