নিজস্ব সংবাদদাতা- ফের প্রবল অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে ইউপিএ আমলের তুলনায় ভারত অনেক বেশি অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে। এমনকি গত বছর যেখানে অবস্থান করছিল সেখান থেকেও পতন ঘটেছে দেশের। গণতান্ত্রিক পরিসরের এবছরের ক্রমতালিকায় আরও ২ ধাপে নেমে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ খুব একটা ভুল নয়। তবে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক জায়গায় আছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর এবং নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে প্রতিবছর সমীক্ষা করে একটি ক্রমানুযায়ী তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় থাকা ১৬৭ টি দেশের মধ্যে এবছর দু’ধাপ নেমে ৫৩ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে আমাদের দেশ। ঘটনা হল নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই তালিকায় ক্রমশ পতন ঘটে চলেছে। অথচ ২০১৪ সালে ভারত তালিকায় ২৭ নম্বর স্থানে ছিল। এই মুহূর্তে কমতে কমতে ৫৩ নম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালে দশের মধ্যে এদেশের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭.৯২। এমনকি গত বছরেও প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬.৯। কিন্তু এবছর সেটি হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৬১।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক দেশ নরওয়ে। এরপর ধাপে ধাপে আছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা। এই দেশগুলিতে জনসাধারণ মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হয় না। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলিও ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গোটা তালিকা কে ৪ টি ভাগে ভাগ করেছে। ভাগটা হল- পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যবর্তী অবস্থান এবং সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্র। এদের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর ২৩ টি দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র আছে এবং ৫২ টি দেশে ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবস্থা বিদ্যমান। ৩৫ টি দেশ গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থিত এবং ৫৭ টি দেশে সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্র জারি আছে।