ফুচকা হল এমন একটি খাবার জার কথা শুনলে এমনকি ভাবলেও জিভে চলে আসে জল। তাই না ? পাড়ার মোড়ে ফুচকার স্টল দাড়িয়ে থাকলে আমরা আর নিজেকে আটকাতে পারিনা। ফুচকা, চুরমুর, টক জল – উফফ ভাবলেই যেনো মনে এক্ষুনি গিয়ে খেয়ে নি। কিন্তু আমরা এখন কমবেশি সবাই diet করে চলি। একটা diet চার্ট ফলো করে চলতে গিয়ে ফুচকা আমাদের আর খাওয়া হয়ে ওঠেনা।কিন্তু এটা কি জানেন যে এই ফুচকাই আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করতে পারে ! ফুচকা কমাতে পারে আমার দেহের অতিরিক্ত মেদ।

ফুচকা

তাহলে জেনে রাখুন একটি ফুচকাতে ৩৭ ক্যালোরি থাকে।

তাই মোটামুটি ১০ টার মত ফুচকা থেকে আপনি পেতে পারেন প্রায় ২১৬ ক্যালোরি । যাঁদের ক্রমে ক্রমে বেশ মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা বাড়িতে অনায়েসেই বাড়ির তৈরি ফুচকা স্ন্যাক্স হিসাবে খেতে পারেন।

ডায়টেশিয়ানদের মত, বাড়িতে তৈরি ফুচকা হলেই সেটা আপনার দেশের ওজন কমাতে যথেষ্ট সাহায্য করতে হবে। কারণ বাড়িতে তৈরি ফুচকার ক্ষেত্রে অনেকটাই কম তেল ব্যবহার করা হয় এবং টক জলের ক্ষেত্রে চিনির ব্যবহারও হবে না। সেক্ষেত্রে পুদিনা, জিরা, জলজিরা, হিং ব্যবহার করা যেতে পারে। মুগ ডাল, আটা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে ফুচকা। ফলে সবদিকে থেকে বেশ সেফ । অন্যদিকে, টক জল সমেত ফুচকা খেলে মোটামুটি পরের কয়েক ঘণ্টা আর খিদে পায় না। ফলে খিদে ও বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিন্তু দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এক, ফুচকা যেন বাড়িতে তৈরি হয়। দুই, নিয়মিত আপনাকে শরীর চর্চা, হাঁটা, দৌড় করতে হবে। হালকা ওয়র্ক আউট আপনাকে করতেই হবে নইলে আপনি ঠিক মত ওজন কমাতে পারবেন না কোনওভাবেই।

তাহলে আর দেরি না আনুন আপনার চার্টে সামান্য বদল । শরীর কে ফিট রাখতে আর ভয়ে ফুচকার থেকে দূরে পালাতে হবে না। এবার বাড়িতে রোজ বানিয়ে টক জল সহযোগে আয়েশ করে খেতে থাকুন সেই জিভে জল আনা খাবার – ফুচকা !