চলো যাই ঘুরে আসি…

এবছর অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পকেটে টান অনেকেরই। কিন্তু বাহির টানছে বারবার। তবে কি ঘুরতে যাওয়া হবে না? ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া হবে না?
না, একদমই না! বাঙালি আর এক্কেবারে গৃহবন্দী, এটা আবার হয় নাকি? তাই সীমিত সামর্থ্য যখন সেই অনুপাতেই কিছু ঘুরবার জায়গার সাথে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সুযোগ পেলেই করোনাকে সযত্নে এড়িয়ে ঘুরে চলে আসুন।

১. লাল কাঁকড়ার বিচ

you tube

সমুদ্র হাতছানি দিয়ে ডাকছে, আর মন চাইছে এক রাশ লাল কাঁকড়ার সাথে কাটিয়ে আসতে। আচ্ছা, তবে এবারে সাধ্যের মধ্যে ঘুরে আসা যাক লাল কাঁকড়া বিচ থেকে।
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া ব্লকের একটি ছোট্ট গ্রাম পুরুষোত্তমপুর। তমলুক থেকে ত্রিশ কিমি ও কাথি থেকে ২৬ কিমি দূরে এর অবস্থান।
বাসে যেতে দীঘা থেকে কিছুটা আগেই চাউলখোলাতে নেমে একটা অটো রিজ করে যাত্রা শুরু। পথ পাশে ম্যানগ্রোভের বাহার দেখতে দেখতে কুড়ি মিনিটের রাস্তাটা চকিতে শেষ। এগারো কিলোমিটার পথ যেন নিমিষে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
এই পুরুষোত্তমপুর গ্রামেই লাল কাঁকড়া বিচ অবস্থিত। এই বিচ বরাবর ডান দিকে ২ কিমি দূরে মন্দারমণি, বামদিকে বগুরান জলপাই সমুদ্র সৈকত।
এ সৈকতে লাল কাঁকড়ায় ভর্তি। সারা বিচে লাল কাঁকড়ার সমাহার। যেন আপনার সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য মুখিয়েই আছে তারা। কিন্তু আপনি যত জোরে পা ফেলবেন, ওরা ছয় পায়ে তার চেয়ে দ্বিগুন বেগে দৌড়োয়। ধরি ধরি করে ছুটে যাবেন, কিন্তু নাগালের বাইরে। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখবেন, আরে! এদিকেও তো… সামনে, পিছনে, ডানে, বায়ে, আড়ালে, আবডালে সর্বত্র… শুধু নাগালে নেই।


মন খারাপি সুরে মনটা ভারাক্রান্ত করে সমুদ্রের আছড়ে পড়া দেখতে শুরু করুন, দেখবেন চারপাশে লাল, লাল আর শুধু লাল… কাঁকড়ায় ছয়লাপ।
সূর্য অস্ত যাচ্ছে। সূর্যের লালিমা দিগন্তে, নীলাভ জলেও রক্তিম আভা, সৈকতেও তাই… আর লাল কাঁকড়ার লাল… মনে এক অন্য অনুভূতি সঞ্চার করবেই।

★★ যোগাযোগ ব্যবস্থা
★ বাস: দীঘাগামী বাস ধরে চাউলখোলা বাসস্টপেজে নেমে অটো বা টোটো স্ট্যান্ডে গিয়ে অটো ধরতে হবে।গন্তব্য বলতে হবে, রামকৃষ্ণ আশ্রম বা লাল কাঁকড়া বিচ।
ডব্লিউ বি এস টি সি:- ১৪৫/-
অটো: ১০০/- থেকে ১৫০/-
অটো দাদার নম্বর ৯৫৪৭৯৮০৯২৮
★ ট্রেন:
হাওড়া থেকে …
৬:৩৫: এ তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস।
১১:১০: এ দীঘা সুপার এসি এক্সপ্রেস।
১৪:১৫: তে কাণ্ডারি এক্সপ্রেস।
ফেরার সময় দীঘা থেকে…
১০:১৫: তে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস।
৩:৩০:এ দীঘা সুপার এসি এক্সপ্রেস
৬:২০: তে কাণ্ডারি এক্সপ্রেস।

★★ থাকবার জায়গা
(১) সাগর কন্যা হোমস্টে
📱৯৬৪১৩০১৮০০/ ৬২৯৪৩৫২৩৬৫
থাকা খাওয়া ৪৫০

(২) রামকৃষ্ণ আশ্রম

📱৮১১৬৭৯৩২৩৪
থাকা খাওয়া ৫০০

২. টাকি

youtube

টাকি
একদম সময় নেই হাতে, একটা দিন ছুটি পেয়েছেন কাজ থেকে। মাসেরও শেষ, কিন্তু কিছুতেই ঘরে মন চাইছে না। আপনার সামর্থেই ঘুরে আসুন টাকি থেকে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র টাকি। ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরে টাকি অবস্থিত এবং নদীর পূর্ব তীরে বাংলাদেশ।
টাকিতে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে জোড়া মন্দির, ইছামতীর ধারে বৃদ্ধাশ্রম, বিধান সৈকত। ইকো ট্যুরিজম পার্ক, রামকৃষ্ণ মিশন, হেমন্ত ঘোষাল স্মৃতিসৌধ, সাংস্কৃতিক মঞ্চ-সহ আরও অনেক কিছু।
ইছামতীর বুকে লঞ্চ ভাসবার ব্যবস্থা আছে।
ইছামতীতে ভাসান দেখতে গোটা রাজ্যের ভিড় ভেঙে পড়ে টাকিতে। গোটা রাজ্য যখন অপেক্ষা করে থাকে দুর্গাপুজোর জন্য, তখন টাকির মানুষ অপেক্ষা করে ভাসানের দিনের জন্য। দু’দেশ থেকে নৌকো করে প্রতিমা এসে নিরঞ্জন দেওয়া হয় নদীতে। দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে তো বটেই, জলবিহার করতে করতেও অসংখ্য মানুষ সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন।
গেস্টহাউসে শুয়ে বসে দু’চারটে দিন আরাম করে কাটানো যায়, আবার একদিনে ঘুরে ফিরেও আসা যায়।
টাকি আসবেন আর, মালপোয়া খাবেন না তা হয় নাকি? এখানকার ভুবন ভোলানো মালপোয়া আর পাটালির স্বাদ না নিয়ে ফিরবেন না কিন্তু!

★★ যোগাযোগ ব্যবস্থা:-
টাকি থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সড়ক ও রেল উভয় পথেই যাওয়া সম্ভব।
★ বাস:-
কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে কলকাতা বাস রুট ২৫২ ধরে হাসনাবাদ যাত্রা। বারাসাত এবং বাসিরহাট হয়ে টাকি পৌছায় বাসটি।
 উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার থেকে ৭৯ সি একই ভাবে টাকি পৌছায় বাসটি।
সময়: ২-৩ ঘণ্টা।

★ ট্রেন:-
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে টাকি পৌচ্ছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে এবং প্রতিদিন কয়েকবার লোকাল ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে টাকি পর্যন্ত যাতায়াত করে।
স্টেশনের নাম টাকি রোড স্টেশন।
স্টেশন থেকে নদী প্রান্ত পর্যন্ত এবং গেস্ট হাউসে যাওয়ার জন্য রিক্সা থসক।
১০-১৫ মিনিট সময় লাগে।

★★থাকার জায়গা:-

১. নৃপেন্দ্র অতিথিশালা (টাকি পৌরসভা গেস্ট হাউস), 
টাকি উত্তর বাড়ি,
পোঃ টাকি,
উত্তর ২৪ পরগনা,
পিন: ৭৪৩৪২৯,
 ☎ +91 9331026585, 
+91 9339375915। 
টাকি পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত গেস্ট হাউস। এখানে শিশুদের জন্য একটি খেলার এলাকা ও বাইরে একটি বাগান এলাকা আছে। 

২. সুহাসিনি গেস্ট হাউজ (টাকি পৌরসভা গেস্ট হাউস), 
টাকি উত্তর বাড়ি,
পোঃ টাকি,
উত্তর ২৪ পরগনা,
পিন: ৭৪৩৪২৯,
 ☎ +91 9330826779, 
📱+91 8016065309।
 নদীর পাড়ে অবস্থিত রাস্তার পাশে একটি গেস্ট হাউসে। গেস্ট হাউসের ঘরগুলি বাতানুকূল এবং গাড়ি রাখার স্থান ও একটি রেস্তোরাঁ আছে। 
১৪০০ টাকা প্রতি রাত্রি।

৩. টাকি মিউনিসিপ্যালিটি গেস্ট হাউস:-
টাকি ঘাট রোড,
পোঃ টাকি,
উত্তর ২৪ পরগনা,
পিন: ৭৪৩৪২৯,
☎️ 03217233324

৮০০ টাকা প্রতি রাত্রি।

৩. সামসিং

You tube


অনেক হলো সমুদ্র, নদী ও সমতল… মন চাইছে একটু পাহাড়ি ও জঙ্গলের স্বাদ একসাথে পেতে… জলপাইগুড়ির সামসিং 
আছে তো। একটি ছোট পাহাড়ি গ্রাম… ডুয়ার্সের রানী।
সামসিং ভারী শান্ত শহর… গোলমাল নেই, নেই ধুলো-ধোঁয়া, নিশ্চিন্তে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার আদর্শ স্থান। ট্রেক করবার বাসনা থাকলে পূরণের জন্য হাজির এই শহর। পথে রয়েছে ছোট ছোট ঝরনা। পাহাড়ের গায়ে জড়িয়ে রয়েছে চা-বাগান। চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো দৃশ্য!
আর আছে বিস্তৃত জঙ্গল… যেখানে দেখতে পাবেন নানা ধরনের পাখি আর প্রজাপতির মেলা। যারা পাখির জগতে হারাতে চায়, সামসিং তাঁদের জন্য দারুণ ট্যুরিস্ট স্পট। গ্রে নাইট জার, গ্রেটার র‌্যাকেটেড টেল ড্রংগো কিংবা অ্যাশি বুলবুলের মতো পাখিরা আপনার ক্যামেরা তথা দৃষ্টিতে ধরা দেবে সহজেই।
পরিষ্কার দিনে ভুটানের তুষারে আবৃত পাহাড়গুলিও আপনার দৃষ্টি গোচর হতে পারে।
সামসিংয়ের খাসমহল বিখ্যাত কমলালেবু চাষের জন্য। আর তার রঙে রঙিন হয়ে ওঠে
সামসিংয়ের প্রান্তর। খাসমহল পেরিয়ে মূর্তি নদীর ধারে, সূর্যাস্তের সময় গেলে পাহাড় আর সবুজের আবহে এক রহস্যময়তা তৈরি হয়।

★★ যোগাযোগ ব্যবস্থা:-
ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি।
কাঞ্চন কন্যা এক্সপ্রেসে নিউ মাল জংশনে নেমে সেখান থেকেও গাড়ি নিতে পারেন।
শিলিগুড়ি মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়ে। দিনে দুটি বাস যায়। নইলে অন্য বসে চালসা গিয়ে রিজার্ভড গাড়িতে যাওয়া যায়।
শিলিগুড়ি হয়ে গাড়িতেও যাওয়া যায়।

★★ থাকবার জায়গা
১. সামসিং ফরেস্ট রেস্ট হাউস:-
📱9434376387
ভাড়া: ৯০০-১৫০০

২. তৃষ্ণা লজ:-
☎️98302 52843
ভাড়া: ৮০০-১০০০

৩. টেম্পলা ইন:-
📱9674900101
ভাড়া: ১৫০০-২০০০
হোম-স্টেও রয়েছে একাধিক… পকেট পারমিট করলে সেখানেও থাকা যেতেই পারে।

৪. দুয়ারসিনি

youtube

পুরুলিয়ার দুয়ারসিনি, প্রকৃতির মাঝে হারানোর এক ঠিকানা। যেন অরণ্য সুন্দরী…
সবুজে-সবুজ… শাল, সেগুন, অর্জুন, মহুয়ার সমারোহ। এ যেন সৌন্দর্যের স্বপ্নপুরীতে প্রবেশের দরজা। 
সাঁওতাল, খেড়িয়া, মুন্ডা, শবরদের বাসভূমি দুয়ারসিনি। ঝাড়খণ্ডের গালুডি থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে দুয়ারসিনি।

স্থানীয়রা বলেন, দুয়ারসিনি অনাঘ্রাতা কুমারী। এক্কেবারে ‘আনটাচ’।
পাহাড়ের টিলার কোল ঘেঁষে জঙ্গলের পাশ দিয়ে সাতগুড়ুমের নদী এঁকেবেঁকে চলেছে আপন ছন্দে, যেন উত্তরের তিস্তা। সাতগুড়ুম নদীতে দলমা থেকে আসা হাতির দল ও হরিণের দল জল খায়। কপাল ভাল থাকলে ওদের তৃষ্ণা মেটানোর ছবি চাক্ষুষ করতে পারবেন অনায়াসে। পাবেন হনুমানজীর দেখা। দাঁড়ান দাঁড়ান… আরো আছে… পেতে পারেন ময়ূরের দর্শনও।
জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে অজস্র কীটপতঙ্গ, তাই সবাধানতা আপনার নিত্য সঙ্গী হবে।
প্রতি শনিবার এই দুয়ারসিনিতে হাট বসে। সেখানে নিজস্ব হস্তশিল্পের পসার দেখবার মতো।
আর এখানকার জিলিপি… উফফফ, অতুলনীয়। দ্বিতীয়বার টেনে আনার পক্ষে যথেষ্ট।

unnamed 2 1

★★ যোগাযোগ ব্যবস্থা:-
★ ট্রেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে পুরুলিয়া, সেখান থেকে বাসে বান্দোয়ান। বান্দোয়ান থেকে ট্রেকারে বা গাড়িতে দুয়ারসিনি।
★ বাস: কলকাতা থেকে বান্দোয়ান সরাসরি বাসেও আসা যায়।

★★ থাকবার জায়গা
১. দুয়ারসিনি গ্রামে ছোট ছোট কুঁড়ে ঘর আছে। স্থানীয়দের বললে ওরা সব ব্যবস্থা করে দেবে। দুপুরে গরম গরম ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু চোখা আর দেশি মুরগির ঝোল পেয়ে যাবেন। রাতেও থাকার ব্যবস্থা আছে। কপাল ভাল থাকলে পেতে পারেন মহুয়াও। শৌচাগারের কোনও সমস্যা নেই।
২. বান্দোয়ান শহরে আছে বেসরকারি লজ।
৩. পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো।

৫. শিটং

youtube

শিলিগুড়ি থেকে প্রায় 63 কিমি দূরে এবং 2800 ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এক ছোট গ্রাম শিটং। দার্জিলিং হিমালয়ের পাদদেশে ছোট্ট মনোরম এক উপত্যাকা এটি।
প্রকৃতপক্ষে শিটং কোন একটি গ্রামের নাম নয়, রিয়াং নদীর উপত্যাকায় পাশাপাশি অনেকগুলো গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে এই শিটং, সেই জন্য অনেকে শিটং খাস মহল নামে চেনে।
পাহাড় আর নদীর যুগলবন্দীর মাঝে একাকী অবকাশযাপনের সুন্দর তীর্থক্ষেত্র।
যার চারিদিকে সবুজ পাহাড় আর রিয়াং নদী দ্বারা সংরক্ষিত কমলালেবুর আর চায়ের বাগানে সমৃদ্ধ, প্রকৃতিপ্রেমীদের এবং পাখিপ্রেমীদের  ঘুরে বেড়ানোর এক আদর্শ জায়গা।
দার্জিলিং হিমালয়ের কমলালেবুর মুখ্য উৎপাদনের স্থান হল শিটং। শীত কালে আপনাকে স্বাগত জানাবে গাছে ঝুলে থাকা থোকা থোকা কমলালেবু। শীতকালে পুরো গ্রামটি র রং কমলা হয়ে যায়।
অনেকে “ঘলেটার” বলেও ডাকে।

images 3 4

★★ যোগাযোগ ব্যবস্থা:-
নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে মংপুর পথ ধরে শিটং পৌঁছতে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। আর কালিঝোরা হয়ে গেলে শিটং এর দূরত্ব ৫৪  কিলোমিটার।
 
★★ থাকবার জায়গা:-
 শিটং এ কোনো বিখ্যাত হোটেল নাই। তবে সাধ্যের মধ্যে অনেক হোম স্টে পরিষেবা বর্তমান।
১. হোম স্টেই রিশান:
📱 ৯৮৩০১-২১১২১
📱৯৮৩৬৬- ৫৯৯৯৮
📱 ৯৮৩০০- ৫২৬৭৫

২.পাইন ট্রি হোম স্টে:-
📱 97330-63066
📱96471-85559

৩.বিশেষ হোমস্টে:-
📱98511-66076
📱99335-45439

থাক না পয়সা কম পকেটে,তা বলে কি ঘুরব না? তা হবে না বাবা, আমরা ঘুরবই।