বিশ শতকের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট যে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড়ো আবিষ্কার তা নিয়ে বোধ হয় আজ আর সন্দেহ নেই কারোরই। আজকাল ইন্টারনেট, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দেশ বিদেশের যে সমস্ত আজব কান্ড কারখানা মাঝে মধ্যেই উঁকি দেয় আমাদের মুঠোফোনের স্ক্রিন থেকে, তা আমাদের রীতিমতো তাজ্জব করে দেয়। ভাবলে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই, যে মাত্র কয়েক দশক আগে পর্যন্তও দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে জরুরি খবর পৌঁছতে লেগে যেত বেশ কয়েকদিন!
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুগম্ভীর খবরের পাশাপাশি লঘু চালের খবর গুলিতে যেন প্রাণ পায় একঘেয়ে শহুরে জীবন। এদিনের ভাইরাল ভিডিওটিও কিন্তু বয়ে এনেছে তেমন লঘু বিনোদনই।
হিন্দিতে একটি প্রচলিত কথা আছে যার অর্থ হল মহিষের সামনে ঢাক বাজানোর কোনো মানেই হয় না। অর্থাৎ ঢাক কিংবা অন্য কোনো বাজনার মাহাত্ম্য বোঝে না মহিষ। কিন্তু সম্প্রতি যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা বলছে অন্য কথা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে বহুল প্রচলিত সেই হিন্দি প্রবাদ মিথ্যে হয়ে গেছে। মালকিনের সঙ্গে গানের তালে তালে উদ্দাম নাচ জুড়েছে খোদ মহিষ! ভাইরাল এই ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে নেট পাড়ায়।
ঠিক কী দেখা গেছে ওই ভাইরাল ভিডিওতে? স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে একটি মহিষ তার মালকিনের সঙ্গে গানের তালে তালে নাচছে। আর শুধু তাই নয়, সেই মহিলাও রীতিমতো গান গেয়ে পা দুলিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন পোষ্যকে। নাচ শুরু করার আগে মহিষটির গায়ে একটি কম্বল জড়ানো ছিল। কিন্তু নাচের তালে তালে উত্তেজনায় কিছুক্ষণে্য মধ্যেই খুলে পড়ে যায় সেই কম্বলও। মালিক পোষ্যের এই যুগলবন্দী সাড়া ফেলেছে রসিক মহল্লায়।
ভাইরাল এই ভিডিওটির কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায় নি। গোটা ভিডিও জুড়েই শোনা গেছে ওই মহিলা গানের সুরে বলে চলেছেন “ঢোলক বাজদা”, আর সেই সঙ্গে মহিষটিও তালে তালে নাচছে। মহিলা বারবার তাঁর পোষ্যকে নাচতেও বলছিলেন, দিচ্ছিলেন উৎসাহ। এই দৃশ্য দেখে চারপাশ থেকে মানুষের হাসির আওয়াজও শোনা গেছে ভিডিওতে।
হিমাচল প্রদেশের এক অঞ্চল থেকে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের নানা টানাপোড়েন, ঘটনাপ্রবাহের মাঝে ট্রেনে কিংবা বাসে মুঠোফোন স্ক্রল করতে করতে মহিষের উদ্দাম নাচের ওই ভিডিও যে আপনার মুখেও হাসি ফোটাবে, তা বলাই বাহুল্য।
