নিজের বাড়ি হবে, গাড়ি হবে, দু হাতে রোজগার আসবে, মা বাবার স্বপ্ন পূরণ হবে নিজের স্বপ্ন পূরণ হবে সকলেই এই আশায় বুক বাঁধে,  আর মানুষের স্বপ্ন পুরনের অঙ্গীকার হল রোজগার।  কারোর স্বপ্ন  পূরণ হয় তো কারোর স্বপ্ন অধারাই থেকে যায় টাকার অভাবে। নিজের রোজগারে স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে কারোর চোখ দিয়ে আনন্দ অশ্রু বয় তো অপরিকে নিজের স্বপ্নকে চুরমার হতে দেখে  দু চোখ বেয়ে পড়ে বেদনা মিশ্রিত অশ্রুধারা। শুধুমাত্র রোজগারের অভাবে  কত ছেলে মেয়ে বেকারত্বের জীবন কাটাচ্ছে। কারন তাঁদের হাতে ভালো চাকরি নেই, কেউ  আবার সিলেকশনের দোরগোড়ায় এসেও ইন্টারভিউ রাউন্ডে অনুত্তীর্ন হয়। এর কারন তারা চাকরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সম্বন্ধে প্রশিক্ষিত নয়। একটি ভালো চাকরি পেতে গেলে কিছু বিষয়ের উপর ধ্যান দিতে হয়। মাত্র ৫ টি জিনিষ থাকলেই আপনি  ভালো চাকরির জন্য প্রস্তুত।

চাকরি পেতে যে ৬ বিষয় থাকা একান্ত জরুরী

কারিকুলাম ভিটা ( সিভি) তে জোড় দেওয়া

আক্টিভ  সিভি অত্যন্ত গুরুতবপুর্ন বিষয় চাকরির ক্ষেত্রে সেখানেই প্রত্যেকের নিজের  সকল অভ্যন্তরীন দক্ষতার প্রমান দেয়।  তার শিক্ষাগত দক্ষতা, স্কুলিং, ভাষার  যোগ্যতা, পুর্ব্বর্তী কোথাও কর্মরত ছিল কিনা। আর সিভিতে অবশ্যই আপানার সদ্য তোলা ছবি সহ সঠিক পরিচয় বিবরন দেবেন। এছাড়া আপনার মধ্যে কোন এক্সট্রা কারিকুলাম আক্টিভিটি আছে না সকল বিষয়ে  সিভিতে  আপডেট দিতে হয়। যাতে সিভি দেখেই নিয়োগকারীর আপনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।

আউটনলেজ  ও যোগ্যতার পারদর্শীকতা

ভালো চাকরির জন্য আউটনলেজ থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারন  গতানুগতিক পুথিবিদ্যার বাইরে তার কি কি দক্ষতা আছে সেই বিষয়ে যিনি নিয়োগকারী  তিনি অবশ্যই যাচাই করে নিতে চাইবেন। সেই সূত্রেই তারা বিশেষভাবে জোড় দেয় তার আউটনলেজের দিকে। এছাড়া কারেন্ট এফেয়ার সম্বন্ধে তিনি কোন খোঁজ খবর রাখেন কিনা তাও পরখ করে নেন । আর এর পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রযুক্তিগত যোগ্যতা সমন্ধে জ্ঞান থাকা জুরুরি গ্রাফিক্স ডিজাইন, মাইক্রোসফট অফিস, অটোক্যাড, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেবলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে হবে। সেই বিষয়ে উর্তীন হয়ে গেলে  চাকরি পাওয়ার অর্ধেক রাস্তা পরিষ্কার ।

উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারী হওয়া

চাকরির ক্ষেত্রে যেটা আপনার মধ্যে থকা উচিৎ সেটি হল উপস্থিত বুদ্ধি। কোন  জটিল পরিস্থিতি কিভাবে আপনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সমাধান করতে পারবেন সেটাও দেখার বিষয়। কারন সকল দিক থেকে পরীক্ষার দ্বারা উর্তীর্ন হলেই আপনি ভালো চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।

নেটওয়ার্ক বিস্তার ঘটানো

ভালো চাকরি পেতে গেলে যোগাযোগ মাধ্যম বা  নেটওয়ার্ক মজবুত করতে হবে। সকল কাজের জন্য নেটওয়ার্ক যেমন জরুরি তেমনই চাকরির ক্ষেত্রে  প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক থাকা আবশ্যকীয়।  যার নেটওয়ার্ক যত শক্তিশালী তার জন্য যেকোনো কাজের সন্ধান পাওয়া ততই সহজ। তাই আপনাকে তৈরি করতে হবে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। আর লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার নেটওয়ার্কের সাথে  নিয়োগদানকারীদের নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ তৈরি হয়। নেটয়ার্ক তৈরি হয়ে গেলে  এখন সেটি রক্ষা করার পালা আর এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে লিংকডিন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। যা দিয়ে আপনি যোগাযোগের মাধ্যমে সর্বদা আপনার তৈরি নেটওয়ার্কের যত্ন নিতে পারবেন।

কনফিডেন্স মাত্রা বজায় রাখা

নিজেকে সর্বদা কনফিডেন্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। এমন ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে হবে যাতে মনে নিয়োগকারীর হয় আপনি একমাত্র যোগ্য এই কজের জন্য। কোন রকমভাবে আপনি যদি চিঞ্চিত থাকেন সেটি ভুলক্রমে বহিঃপ্রকাশ করবেন না। এমনকি ভেতর থেকে কনফিডেন্ট থাকার চেষ্ঠা করবেন। মাথায় রাখবেন মানুষ সব জানে না, জানার জন্য আগ্রহী হয়।  তাই আপনি যদি কোন একটি বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞাত থেকেও থাকেন তা বুঝতে দেবেন না। আপনার উত্তর এমন হওয়া দরকার যাতে  নিয়োগকারীরা বিষয়টি ধরতেই না পারে।  কিন্তু কনফিডেন্ট শুধু আপনার আভ্যন্তরীনস্তরে থাকলে হবে না। বাহ্যিকস্তরেও থাকাটাও অত্যন্ত জরুরী। বাইরে দিয়ে নিজেকে কনফিডেন্ট দেখানোর  জন্য আপনাকে রুচিশীল হতে হবে। সবসময় মনে রাখবেন ইন্টারভিউ দেয়ার সময় কখনো যেনো ক্লিন সেভ, ফরমাল পোশাক আর নিজের এক কপি সিভি ও কলম সাথে নিয়ে যেতে আপনার যেন ভুল না হয়। । এগুলি আপনার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয়।

পদের ভিত্তি সম্বন্ধে  সাম্যক জ্ঞান

চাকরি পাওয়ার আশায় অনেকেই নিজের ফিল্ডের বাইরে গিয়ে চাকরি খোঁজে। ফলে সেই চাকরি সমন্ধে তার হয়তো তেমন কোন ধারনা জন্মায় না। তাই যে কোন চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে সেই চাকরির ভিত সমন্ধে সাম্যক ধারনা তৈরি করে নেওয়া অত্যন্ত দরকার।  কারন নিয়োগকারীরা তাঁদেরকেই চাকরির সুবিধা করে দেবে যাদের মধ্যে সেই পদ সমন্ধে জ্ঞান থাকবে, এবং পদটির মর্যাদা বহন করতে সক্ষম হবে। তাই যে কোন পদের চাকরির ক্ষেত্রে সেই বিষয়ে সামান্য হলে জ্ঞান থাকা আবশ্যকীয়।

এই বিষয়গুলি অবলম্বন করলেই আপনি অতি সহজেই একটি ভালো চাকরি পেতে পারেন নিজের দক্ষতায়। তখন আপনার স্বপ্ন আর অসম্পূর্ন থাকবেনা। আপনিও অন্যান্যদের মতো নিজ পায়ে সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন। তাই এই ৬ টি বিষয়ে নিজের কাছে থাকলেই যে কোন চাকরি আপনি অতি সহজে ক্র্যাক করতে পারবেন।