একজন খুব অজানা কোনো ব্যক্তি তার ছাত্র জীবন এ কখনো বলেছিল !
“অপেক্ষা করতে থাকলে চিরকাল অপেক্ষাই করতে থাকতে হবে তাই বরং অপেক্ষা করার চেয়ে কিছু করে দেখা যাক !
উল্লেখযোগ্য এই সেই ব্যক্তি টি আমিই এবার কেন বললাম তা জেনে নেওয়া যাক !?
ছাত্রজীবন প্রত্যেকের জীবনের একটা বড়ো এবং সূক্ষ্ম অংশ । বড়ো কারণ বেশির ভাগ মানুষদের ক্ষেত্রে জীবনের ২০-২৫ বছর সময় ছাত্রজীবন এই কেটে যায় ।
তাই জীবনের খুব একটা যে কম সময় এটা তা একদম ই ভুল । আর সূক্ষ্ম কেন ? কারণ এই সময়ে আমার করা প্রতিটি কাজ ,আমাদের দ্বারা নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত টা সে ছোটো হোক কিংবা বড়ো , প্রতিটি বিষয় আমাদের ভবিষ্যত এর সাফল্যতার বেশিরভাগ টার জন্য যথেষ্ট প্রভাবশালী ।
তাই এইসময় আমরা যাই করিনা কেন যেকোনো ব্যাপারে যাই সিদ্ধান্ত নিয় না কেনো আগে ৭ বার ভেবে চিন্তে আমাদের প্রতিটি পা ফেলতে হয় ।
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রই শুধু পড়াশুনোর জগতে সীমাবদ্ধ থাকে । হয়ত তারা থাকতে পছন্দ করে বা তাদের কাছে হয়তো উপায় নেই কারণ বিভিন্ন থাকতে পারে ।
তবে মূল কথা হলো শুধু ছাত্রজীবন এ আবদ্ধ থেকে কি নিজেকে কখনো উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ? কখনোই নয় ! তার জন্য প্রয়োজন নতুন কিছু করার ইচ্ছা ! নতুন কিছু করে দেখবার আবেগ ! এই আবেগটা থাকলেই বাকিটা আপসে হয়ে যাবে ।

আমাদের বেশিরভাগ ই ছাত্রজীবন কাটানোর সময় সম্পূর্ণ রূপ এ অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে । তাদের বিভিন্ন খরচ পাতি টিউশন ফিস থেকে শুরু করে হোস্টেল খরচ সবকিছুর জন্যই অন্য কোনো দ্বিতীয়ত ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় ।
কিন্তু যদি আমি বলি আমরা ছাত্রাবস্থা তেই নিজেদের ভার নিজেরা তুলে নিতে পারি তাহলে বিশ্বাস করবেন আপনি ? আমিই বলে দেবো সবকিছু চিন্তা নেই ।
আজ এরমি কিছু পদ্ধতির সন্ধান নিয়ে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো যা শুধু আপনাকে, আপনার ছাত্র জিবনে দায়িত্ব নিতে সাহায্য করবে না বরং আপনার স্কিল লেভেল ও অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়ে জীবনের কোনো এক প্রান্তে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করবে ।
১/ প্রাইভেট টিউটর-

বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের নিজেদের কথা ভাবলেই বুঝতে পারি ছাত্রদের জন্যে প্রাইভেট টিউটর কতটা প্রয়োজনীয় । সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বোর্ডের ছাত্র দের প্রায় সকলেই বর্তমানে এক্সট্রা ব্যাকআপ হিসাবে প্রাইভেট টিচার এর দরকার অনুভব করে থাকে । আর সেই সুযোগ কেই যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলেই তো হয়ে গেলো ।
আমরা আমাদের পড়াশুনো চলাকালীন নিঃসন্দেহে আমাদের থেকে ছোটো অর্থাৎ আমাদের থেকে নীচু স্তরের ছাত্রদের পড়ানোর কাজ করতে পারি । যথেষ্ট সম্মান জনক এই কাজের ক্ষেত্রে মাইনের পাশাপাশি ছাত্রদের বেস বাড়িয়ে পরবর্তী কলে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে ও এই কাজ টি কে আপনি বেছে নিতে পারেন । তবে বর্তমানে ছাত্রাবস্থা তেই কাজটি শুরু করে দেখতে পারেন ।
প্রতিদিন যদি আপনার ডেইলি কাজকর্ম থেকে ২-৩ ঘণ্টা সময় আপনি বার করতে পারেন তাহলে মাসের শেষে অনায়াসেই হয়ত আপনার প্রয়োজন টুকু নিজেই মিটিয়ে নিতে পারবেন ।
২/ কনটেন্ট রাইটিং-

এই ডিজিটাল দুনিয়ায় ডিজিটালাইজেশন কে কাজে লাগিয়ে আমাদের আসে পাশে বিভিন্ন কাজের অপরচুনিটি ঘুরে বেড়াচ্ছে । সেগুলোকে যদি একবার খুঁজে বের করা যায় তাহলেই অনেকটা কাজ সহজ হয়ে যাবে । আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হন আপনি কোনো ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো সংস্থার হয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন ।
বিভিন্ন গ্রোয়িং বা নিউ ওয়েবসাইট আজকাল বহু সংখ্যক এরম ছাত্র দের তথা মানুষদের খোঁজে থাকে । যারা টেকনোলজি সবন্ধ্যে নূন্যতম জ্ঞান রাখে । বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্লগ , আর্টিকেল , বা খবর সংক্রান্ত নানান বিষয় লিখে আপনি এই ফিল্ডে মোটা অঙ্কের টাকা কামাতে পারেন ।
৩/ ট্রান্সলেটিং – ট্রান্সক্রিপটিং-

বিভিন্ন ওয়েবসাইট বর্তমান দিনে নিজেদের ক্ষেত্র কে বাড়ানোর জন্য নিজেদের ওয়েবসাইটের বিষয় বস্তু কে ইংরেজি বহিভূর্ত আরো অন্যান্য ভাষায় ট্রান্সলেট করে নিজেদের ওয়েবসাইট এর বিস্তার ঘটায় । বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল তথা আরো নানান ধরনের অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত হতে পারেন আপনি । ইংরেজির পাশাপাশি যদি আপনি অন্য কোনো ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে এই সুযোগটি হাতছাড়া না করাই ভালো ।
এছাড়া রয়েছে ট্রান্সক্রিপটিং এর কাজ বিভিন্ন অডিও ফাইল এ কি বলা হচ্ছে তা বুঝে আপনাকে লিখিত আকারে সেই অডিও ফাইল এর একটি লিখিত রূপ বানাতে হয় । বেশ কিছু নিয়ামবলি থাকে এইসব কাজে যা আপনার আগে একটু ভালো করে শিখে নেওয়া উচিত । তবে শিখতে গেলেও আলাদা কোনো খরচ বলতে শুধুমাত্র একটু সময় আর ইন্টারনেট ডাটা ।
ইন্টারনেট এই আজকাল এ বিষয় এ অনেক কিছু শিখে নিতে পারেন আপনি সেবিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ ঠিকঠাক আপনার হতস্থ বা মনস্থ না হলে এই সুযোগ টিকে আপনি বিবেচনা করতেই পারেন ।
৪/ ভিডিও ক্রিয়েটর-

বর্তমানের এই ডিজিটাল দুনিয়ায় সবকিছু মার্ডানিস্টিক ভাবে হচ্ছে । শিক্ষা র বিষয় হোক বা মনোরঞ্জন সবকিছুই এখন এসে গেছে ভিডিও জগতের আওতায় ।আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন আর ভিডিও দেখেন কথাদুটো কেমন অবিশ্বাস্য ধরনের ।ইউটিউব এর নাম আমরা কে না শুনেছি । বিশ্বের দ্বিতিয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন হলো এই ইউটিউব যা থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় যায় মানুষ বর্তমান দিনে লৈখিক শিক্ষ্যার থেকে ভিডিও কে বেশি পছন্দ করেন ।
মনরঞ্জন থেকে শুরু করে খবর বা কোনো রান্নার রেসিপি সবকিছুই এখন ভিডিও র মাধ্যমে আমাদের সামনে হাতের মুঠোয়। আগেকার দিনে ইউটিউব টাকে কাজ হিসাবে ভাবা যেত না কিন্তু বর্তমান দিনে এই বিষয় টি অনেকটা খোলস ছেড়ে সকলের সামনে আসতে শুরু করেছে ।
আপনি যদি ছাত্র হন বা আপনার কোনো অন্য স্কিল থাকে বা নাই থেকে আপনি ইউটিউব , ডেলি মোশন
প্রভৃতি সাইট এর ভিডিও ক্রিয়াটর এর কাজ করতে পারেন । নিজের কোনো স্কিল থাকলে সেটি কে ব্যবহার করুন । তবে বর্তমান দিনে এই সমস্ত ফিল্ডেই কম্পিটিশন অনেক বেড়ে গেছে সেটা মাথায় রাখবেন ।
ইউটিউব থেকে ক্যারিয়ার বানানোর জন্য নিচের আর্টিকেল টি পড়ুন 👇
৫/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-
