দুয়ারে আগত আলোর উৎসব। বাঙ্গালীরা যাকে বলি দীপাবলী আর অন্য ধর্মের মানুষরা বলে দিওয়ালি। দুটোতে কেবল উচ্চারনের পার্থক্য আনন্দের নয়। দিওয়ালি বা দীপাবলী হল আলোর দিন। যেই দিন কাজের চাপ, সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে , মনের গ্লানি দূর করে আলোর রোশনাই গায়ে মাখে। চারিদিকে এত আলোর ছটা না চাইলেও মনটা আনন্দে ভরে ওঠে ,চারিদিকে আলো আলো চোখ ধাঁদিয়ে যায়, অন্ধকারের লেশমাত্র জায়গা হয় না। আর এই উৎসবের দিনে সকলের বাড়ি থেকে শুরু করে দেশ সেজে ওঠে আলোতে। দিপবলী ঘরে ঘরে খুশীর বার্তা বহন করে। কখনও সেই বার্তা পৌঁছে যায় উপহার রূপে। তাই দীপাবলি কিংবা দিওয়ালি যাই বলুন না কেন শুভেচ্ছা আসে বাক্সবন্ধী উপহারের বেশে, আবার কারোর কাছে মনের ভালবাসা, শুভ কামনার দ্বারা। আর এই বাক্সবন্দী উপহার কিন্তু খুশির অর্থ বহন করে। যাতে উপহারগ্রাহীতার জীবনে খুশি বয়ে আসতে পারে।
কিন্তু এই উপহার দেওয়া সম্পর্কে অনেকেই কাঁচা। কি দিতে হবে তাদের ঠিক বোধগম্য হয় না। অনেক সময় ভাবতে ভাবতে চিন্তার ভাঁজও পড়ে যায় কপালে কিন্তু উপহারের সন্ধান পায় না। তাই আজ এমন কিছু উপহারের কোথা বলব যার দ্বারা উপহারদাতারও সুবিধা হবে সাথে উপহারগ্রাহীতাও আনন্দ পাবে।
দীপাবলির ৫ শ্রেষ্ঠ উপহার
ক্যাডবেরি
সবথেকে সুন্দর একটি উপহার, যার দ্বারা মিষ্টি মুখও হয়ে যাবে সাথে আপনার উপহারও দেওয়া হবে। কারন ছোট থেকে বড় সকলেরই প্রিয় ক্যাডবেরি তাই এর থেকে ভালো উপহার তাও এই খুশীর দিনে আর কিছুই হয় না। মিষ্টির সাথে মনের সকল রাগ অভিমান একদম গলে যাবে এর গড়ে উঠবে মিষ্ট সম্পর্ক।তাই উপহারের তালিকায় ক্যাডবেরিকে সর্বপ্রথম স্থানে রাখতেই পারেন।

ধাতু
দীপাবলির উপহারের তালিকায় ধাতু রাখা আবশ্যকীয়। লক্ষী গনেশের আগমনে দাতু খুবই মঙ্গলদায়ক। তাই প্রিয়জনকে এমন কোন উপহার দিন যা ধাতুর তৈরি সেটি হতে পারে সোনা কিংবা রূপা, আবার পিতলের ছোট প্রদীপ, বাটি, কাসার থালা বাসন। মানুষের মনের বিশ্বাস ধাতু কিনলে ঘরে লক্ষী বাস হয় ।

বই
গ্যাজেটের দুনিয়ায় এখন সব মশগুল। ঘটার পর ঘন্টা ফোন , ল্যাপটপে মাথা গুজে বসে থাকে। পারিপার্শিক সভ্যতার সাথে মেলাতে গিয়ে নিজেকে নিজ সভ্যতা থেকে সরিয়ে ফেলছে। তাই এক্ষেত্রে সেরা উপহার হল বই। গ্যাজেট থেকে মুখ সরিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার শ্রেষ্ঠ উপহার হল বই। এই বইয়ের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে বইয়ের পাতায় অন্য জীবন খুঁজে পাবে।
ঘড়ি
মানুষের কাছে সময় খুব দামী। একবার সময় পেরিয়ে গেলে শত চেষ্টাতেও সেটা ফিরিয়ে পাওয়া যাবে না। তাই ঘড়ি সময়ের গুরুত্ব বোঝাবে। যাকে উপহার হিসেবে দেবে সে বুজবে সময়ের মর্ম। সময় বেঁধে রাখবে সে, সেই সময় স্মৃতিচারণ ঘটাবে আপনার তার মনে । কোনদিন সময়ের অভাবে আপনাকে ভুলে গেলেও তাএ সেই সময়ই আপনার কথা মনে করিয়ে দেবে ।
ফেংশুই
শুধু ফ্যাশন নয় বাড়িতে শান্তি ফিরিয়ে আনার অন্য চাবিকাঠি। বাস্তুমতে সঠিক দিকে ফেংশুই রাখলে সংসারে আসে শান্তি। মানুষ সুখের মুখ দেখে। বাস্তুমতে , দরজার দিকে মুখ করে রাখলে, জালনার উপর জুলিয়ে রাখলে, শোবার ঘরে রাখলে জীবনে অর্থকষ্ট আসে না। ধন সম্পত্তি আসে, লক্ষীবাস হয়, সুখ শান্তি অক্ষত থাকে। তাই দীপাবলির উপহারের তালিকায় ফেংশুইকে অবশ্যই রাখুন।

তালে হলেন তো চিন্তামুক্ত। তালে কি ঠিক করলেন কোন উপহারটা বেঁছে নিচ্ছেন উপহার হিসেবে। কোন উপহার দিয়ে সুখের ভাণ্ডার নিয়ে যাবেন প্রিয়জনের ঘরে।