
প্রচুর চেষ্টা করছে আপনার সন্তান , কিছুতেই পড়ায় মন বসছে না। আবার প্রচুর পড়াশোনা করেও মনের মতো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সারা দিনরাত্রির খাটনির পর নামমাত্র নম্বর পাচ্ছে এমন সমস্যার মুখে কি আপনার সন্তানও? তাহলে একবার বাস্তুতন্ত্রের পরামর্শ মেনেই দেখুন।
প্রত্যেক মা – বাবার কাছেই তার সন্তান খুবই প্রিয়। তারা সবাই চায় নিজের সন্তানকে ভালো রাখতে।তাই সে দিকে আমরা অনেকেই বাস্তু শাস্ত্র-এর ওপর কম-বেশি আস্থা রাখি।

নিজের বাস্তু মেনে আমরা ঘরের রং করাই, বাড়ির প্রতিটা কোণ সাজিয়ে তুলি। রান্নাঘর, সিঁড়ি, বাথরুম এমনকি বাড়ি ও অনেক সময় নানান বাস্তু শাস্ত্র মেনে কিনি। তাই বাড়ির ও সমস্ত কিছু বাস্তু মেনেই করা উচিত। কিন্তু শুধু বাড়ি নয়, নিজের সন্তানের ঘর সাজানোর সময়ও একটু বেশি সতর্ক থাকুন। কারণ, তাদের সামনে রয়েছে উজ্বল এক ভবিষ্যৎ। বাস্তু মেনে ঘর তৈরি না করার কুপ্রভাব আপনার সন্তানের জীবনেও পড়তে পারে। তাই বাস্তু মতে সন্তানের ঘর সাজিয়ে তুলুন, ভাল ফল পাবেন। আপনার সন্তানের যদি তাতে উপকার হয়, তার থেকে ভাল তো আর কিছু হতে পারে না। তাই বাস্তু মতে সন্তানের পড়ার ঘর সাজিয়ে তুলতে পারেন। তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর সমস্ত জীবের মতো জড় পদার্থেও মধ্যেও ভাল-মন্দ শক্তির উৎস থাকে। তাই সন্তানের পড়ার ঘরের জিনিসপত্র কোথায়, কোনটা, কীভাবে রয়েছে, সেই দিকে কিন্তু আপনি খেয়াল রাখুন সবার আগে। এরপর আপনার সাজানো শুরু হোক।সেই মত আসুন জেনে তেমনি 4টি উপায়।
১) পড়ার ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পড়ার টেবিল। কখনই দেওয়ালের সামনে টেবিল রাখবেন না। কিংবা দেওয়ালের সঙ্গে লাগোয়া পড়ার টেবিল তৈরি করবেন না। বিশাল দেওয়াল আপনার সন্তানের মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা অনুভব করতে পারে।
২) পড়ার টেবিলের উপর প্লাস্টিক, তামা কিংবা ক্রিস্টালের ত্রিভুজ রাখতে পারেন। চাইলে তার সামনে দেবী সরস্বতীর ছবিও রাখতে পারেন। এতে ভাল প্রভাব পড়বে বলেই মত বাস্তু বিশেষজ্ঞদের। যুক্তির খাতিরে অনেক তর্কই করা যায়। তবে মানলে ক্ষতি তো নেই! সন্তানের সাফল্যেই তো আপনার গর্ব।

৩) দেওয়াল সামনে থাকলে যেমন খারাপ প্রভাব ফেলে, তেমনই পিছনে থাকলে পজিটিভ এফেক্ট হয়। এতে আপনার সন্তানের মনে নির্ভরতা তৈরি হয়।
৪) পড়ার ঘরের টেবিলটি উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখার পরামর্শ দেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। সামনে খোলা জানলা থাকলে আরও ভাল হয়। একেবারে টাটকা বাতাস আসে তাহলে।এতে যেমন পজিটিভ এনার্জি পাওয়া যায়, তেমনই ভাল চিন্তা উদ্বুদ্ধ করে। মনের মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। ব্যাস এই কটা কথা মাথায় রাখলেই হবে ।