নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি বছরে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে ভারতবর্ষ। অর্থাৎ ৪৭-এর সেই আগস্টের পর পেরিয়ে গেছে ৭৩টা বছর। এতগুলো বছরে উন্নতি যেমন দেখেছে এদেশের মানুষ, তেমনি পাল্লা দিয়ে জাল বিস্তার করেছে অপরাধ জগতও। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে ভারতের বিচারব্যবস্থা। চমকপ্রদ তথ্য হল, এ পর্যন্ত এদেশে চূড়ান্ত শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পাননি কোনো নারী।

বিচারব্যবস্থার এই রেকর্ড অবশ্য সম্প্রতি ভেঙেছে।প্রথমবার ফাঁসির সাজা পেয়েছেন একজন নারী। শবনম। স্বাধীন ভারতের প্রথম নারী হিসেবে আর কিছুদিনের মধ্যেই ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তে চলেছেন এই শবনম। গড়তে চলেছে ইতিহাস। বস্তুত, শবনম যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তার ভয়াবহতা শীর্ষ আদালতকে বাধ্য করেছে চূড়ান্ত শাস্তির নিদান দিতে। ফলে মথুরার জেলে শুরু হয়েছে ফাঁসির প্রস্তুতি।

এদেশে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলে। কিন্তু এযাবৎ সেই ফাঁসির মঞ্চ ফাঁকাই পড়ে ছিল। এখন শবনমের সাজা ঘোষণা মথুরায় সৃষ্টি করেছে নতুন চাঞ্চল্য। জানা গেছে, ইতিমধ্যে মিরাটের পবন জল্লাদ মথুরায় গিয়ে ফাঁসির স্থানটি পরিদর্শন করেছেন৷ তবে কবে স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়বেন শবনম সেই তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।

ঠিক কী অভিযোগ এই মহিলার বিরুদ্ধে যা প্রমাণিত হওয়ায় চূড়ান্ত শাস্তি পেতে চলেছেন তিনি? জানা গেছে, শবনম আমরোহা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে সাত-সাতটি খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল শবনম তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে কুঠুরি দিয়ে পরিবারের সাত সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করে। এই মামলার ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডই বহাল রেখেছে। এমনকি দয়া দেখাননি রাষ্ট্রপতিও।

বস্তুত, মথুরা জেলে দীর্ঘ দেড়শো বছর ধরেই রয়েছে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, শবনমের ফাঁসির জন্য বিহারের বাক্সার থেকে আনা হচ্ছে দড়ি। অভিজ্ঞ পবন জল্লাদই সবটা পরিদর্শন করেছেন৷