রক্তে ভাসল রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোট। সকাল থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছিল। বেলা গড়াতেই এল মৃত্যুর খবর। মাথাভাঙা বিধানসভার জোড়পাটকি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল চার যুবকের। এমনই অভিযোগ। মৃতদের চারজনই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমন কথাই বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। মৃত ওই চার ব্যক্তির নাম-মনিরুল হক, হামিনুল হক, হামিদুল হক, নূর আলম।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, আচমকা ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আরও পড়ুন: লকেটের গাড়ি ভাঙচুর

বিজেপি সাংসদ-নেতা নিশীথ প্রামাণিক, পুরো ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ”কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যে ভাবে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন মমতা, তার জন্য মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে।”

এর আগে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পর শীতলকুচির পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয় বলে খবর।

পাশাপাশি হুগলির চুঁচড়ায় ভাঙচুর হল বিজেপির সাংসদ প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জির গাড়ি। বিজেপি-র অভিযোগ লকেটকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। যাতে এলাকা থেকে ভয়ে লকেট পালান, সেই লক্ষ্যেই হুগলির সাংসদ তথা চূঁচড়ার বিধায়কের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। শনিবার সকাল ১০.১৫ নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। লকেটের অভিযোগ, চুঁচুড়া বিধানসভার ৬৬ নং বুথে ভোটে অনিয়ম করেছিলেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। সেটা রোখার চেষ্টাতেই এই হামলা।