নিজস্ব সংবাদদাতা- শুভেন্দু অধিকারীর পাড়ায় গিয়ে বলে বলে ছয় মারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যাপক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অভিযোগ করেন লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় রোড শো করে বিবেকানন্দের মূর্তি যে বিজেপি ভেঙেছিল তাদেরই পায়ের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, “যে নেতা কলকাতায় মিছিল করে মেদিনীপুরের গর্ব বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল সেই নেতারই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে মেদিনীপুরের অহঙ্কার পুরো মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।”

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন অভিষেক। সারদা চিটফান্ডের কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দাবি সম্বলিত চিঠি তুলে ধরার পাশাপাশি অভিযোগ করেন হলদিয়ায় অনেক কারখানা তৈরি করেছেন এই দলত্যাগী নেতা। এর পাশাপাশি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে লোকজনকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ‌ও তুলেছেন। দাবি করেছেন তাঁর কাছে সমস্ত প্রমান আছে, প্রয়োজনমতো সবই প্রকাশ্যে আনবেন।

“তুমি অকৃতদার নয়, অকৃতজ্ঞ”, দল ছাড়ার কারণে তীব্র শ্লেষে শুভেন্দুকে বিদ্ধ করেন অভিষেক। এর পাশাপাশি এই দল ত্যাগী নেতার গুরুত্ব খুব একটা কিছু নয় বোঝাতে গিয়ে বলেন, “চার আনার নকুলদানা, তার আবার ক্যাশ মেমো।” এই মন্তব্য করার পর উপস্থিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

জনসভা থেকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২৫০ টির বেশি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরে আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর এবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবে।” প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে ঘোষণা করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এখান থেকেই প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।

শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের যে আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দিতা করবেন, তাকে সেখানেই ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারাবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে না পেরে তার বউকে বিরক্ত করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।

বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “বিজেপি এতো আয়ুষ্মান ভারত করছে আর তাদের দলের সাংসদদের পরিবারের লোকেরা সবাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাচ্ছে। দিলীপ ঘোষের পরিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির দাবি আসলে কত বড় ভাঁওতা।”