নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে আগামীকাল শেষ হতে চলেছে বাংলার ভোট উৎসব। বৃহস্পতিবার অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় চার জেলার ৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। তার মধ্যে রয়েছে মালদহের ৬, মুর্শিদাবাদের ১১, বীরভূমের ১১ এবং কলকাতার ৭টি আসন। এই দফায় নজর থাকবে একাধিক রাজনৈতিক মুখের দিকে। তার মধ্যে কেউ পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ, তো কেউ আবার প্রথম বার নেমেছেন বিধানসভার ময়দানে।

তৃণমূলের একদম শুরুর দিকে ২০০১ এবং ২০০৬ সালে উত্তর কলকাতার বৌবাজার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন অভিনয় জগৎ থেকে সেইসময় সদ্য রাজনীতির ময়দানে আসা নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০১১-এ তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। এদিকে, ২০১১ সালে চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে জেতেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। যদিও ২০১৪-য় শিখা দল থেকে পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জেতেন নয়না। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও জেতেন তিনি। এ বার ফের তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল।

অষ্টম দফায় আরেক উল্লেখযোগ্য প্রার্থী, চার বারের বিধায়ক পরেশ পাল। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। পরে ২০১১ এবং ২০১৬-য় বেলেঘাটা থেকে বিধায়ক হন পরেশ। এ বারও বেলেঘাটা থেকেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এই দুই দফায় দুই মন্ত্রীও রয়েছেন। প্রথম জন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। ২০১১ এবং ২০১৬-য় শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে পান মন্ত্রিত্ব। অন্য দিকে, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এ বারও মানিকতলা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। ১৯৮৪ সালে প্রথম বার বড়তলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেখানকার বিধায়ক থাকার পরে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে মানিকতলা থেকে ভোটে জেতেন তিনি। এ বারেও ফের মানিকতলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন সাধন।

মানিকতলা কেন্দ্রে আবার সাধনের প্রতিপক্ষ বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে। কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের পাশাপাশি ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর লোকসভায় দাঁড়িয়েছিলেন। তবে সে বার তিনি হেরে যান কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মিত্রর কাছে। এ বার মানিকতলা থেকে বিধানসভায় লড়বেন তিনি।

আবার রাজনীতিতে অভিজ্ঞ হলেও এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন লড়ছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কাশীপুর-বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক মালা সাহার জায়গায় এ বার তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। এলাকার মানুষজনের মতে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হওয়ায় অতীনের জয় প্রায় নিশ্চিত। এদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক গুপ্ত এ বার বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী। স্মিতা বক্সীর জায়গায় তাঁকে জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে দল।