পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মামলা অবশেষে গ্রহণ করল সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার মামলার শুনানীর সম্ভাবনা। গত দুদিনের টানটান উত্তেজনার মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এসএসসি নিয়োগ ৷ কয়লা পাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় যেভাবে গত কয়েকদিন তৃণমূলের হেভিওয়েটদের নাম উঠে আসছে তাতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এদিন সরাসরি এসএসসি প্রসঙ্গ না তুললেও ইঙ্গিতে তিনি বলেন, বাম আমলে চিরকূট দিয়ে চাকরি হতো। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি ‘তুঘলকি কায়দা’য় দেশ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা।
তবে শাসক দলের এমন বরিষ্ঠ কর্ণধারদের নামের পাশে দুর্নীতির এরম একটা তকমা বসলে কার্যত যে সমস্যায় পড়তে হবে দলকে তা সকলেই বুঝতে পারছেন।

এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত যে দুর্নীতি হয়েছে তার বীজ বপনের পর গড়িয়েছে অনেক দূর। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সময়ের মধ্যে উনি সিবিআইয়ের কাছে না পৌঁছলে তারা পার্থবাবুকে নিজের হেফাজতেও নিতে পারবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিজিৎ বাবু। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থবাবু।

এসএসসি

হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চের মতে আর্জি জানানোর কোনও পদ্ধতিই অনুসরণ করেননি পার্থবাবু। মামলা দায়ের না করেই ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাই এই মামলা তারা শুনতে প্রস্তুত নন। তাই প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা।

আদালতের নির্দেশ পার্থবাবু অগ্রাহ্য করেননি। তিনি বুধবার সন্ধ্যে ৬টায় সিবিআই দফতরে পৌঁছোন। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের যাবতীয় প্রশ্ন নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চলে সেই জিজ্ঞাসাবাদ।

অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা গ্রহণ করেন। শুক্রবার সকালে এই মামলার শুনানি হতে পারে।