নিজস্ব সংবাদদাতা- ভোট এসে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বসিরহাট অঞ্চল। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বসিরহাট অঞ্চলের দাপুটে নেতা বাবু মাস্টার। তিনি তৃণমূলের দখলে থাকা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাদক্ষ ছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময়ে উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যেবেলা বসিরহাটে দলীয় সভায় সেরে কলকাতার দিকে ফেরার সময় মিনাখাঁ থানা এলাকায় তার গাড়ি ঘিরে ধরে ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ও গাড়ির চালককে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাবু মাস্টার বসিরহাটে থাকছিলেন না। দলীয় কর্মসূচি থাকলে বসিরহাটে আসতেন এবং রাত হওয়ার আগেই কলকাতায় ফিরে যেতেন। আজ বসিরহাটে বিজেপির কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সভা শেষে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে কলকাতায় ফেরার সময় মিনাখাঁ থানার অন্তর্গত লাউহাটি ফাঁড়ির কাছেই এই বিজেপি নেতার গাড়ি ঘিরে ধরে বোম মারতে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী।
সূত্র মারফত খবর প্রায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী দল বেঁধে বাবু মাস্টারের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার গাড়ি লাউহাটি ফাঁড়ি পেরিয়ে গিয়ে একটি স্পিডব্রেকারের সামনে গতি কমাতে বাধ্য হলে দুষ্কৃতীদের দলটি গাড়ি ঘিরে ধরে বোম মারতে শুরু করে। এমনকি বাবু মাস্টারকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলেও খবর। শোনা যাচ্ছে বোমের স্প্লিন্টার ঢুকে গিয়েছে এই বিজেপি নেতার শরীরে।
দল ছাড়ার সময় তৎকালীন এই তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেছিলেন তিনি একজন শিক্ষক হওয়া সত্বেও তার বিরুদ্ধে দলেরই লোকজন মাছ চুরির কেস দিয়ে জেলে পোড়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত আছে এখনও পর্যন্ত তা জানা না গেলেও বিজেপির অভিযোগ তীর তৃণমূলের দিকে।