কৃষকদের হাতে মার খেলেন বিজেপি MLA, ‘অন্নদাতা’দের হিংসা বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছরের শেষ থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের মোদী সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের এই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ইতিমধ্যেই ১০০ দিন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরমধ্যেই গত শনিবার একদল কৃষক পাঞ্জাবের মুক্তসর জেলার মালউত অঞ্চলে বিজেপির বিধায়ক অরুণ নারাঙ্গকে মারধর করেছেন। তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, আবোহর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অরুণ নারাঙ্গ দলেরই কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন। এমন সময় সেখানে এসে কয়েকজন কৃষক প্রচণ্ড ক্ষোভের বশে তাঁর দিকে কালি ছুড়ে দেন। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা বিধায়ক ও বিজেপি নেতাদের নিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। তাঁরা যখন দোকান থেকে বেরোচ্ছেন, তখন একদল কৃষক ফের তাঁদের আক্রমণ করেন। তখনই বিধায়ককে মারধর করা হয়। তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে বিধায়ককে ঘিরে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে, কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা দর্শন পাল বলেন, কৃষকরা আবহোরের বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই বিক্ষোভ একসময় হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। বিধায়ককে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। তবে আমরা এই ধরনের কাজ সমর্থন করি না। ইতিমধ্যে কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মুখ খুলেছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। একইসঙ্গে তিনি কড়া ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করেছেন। তাঁর ধারণা, কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় মোদীর দলের জনসমর্থন রীতিমতো হ্রাস পাবে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কৃষক আন্দোলন যদি আরও কিছুদিন চলে, তাহলে রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপির প্রভাব কমতে শুরু করবে।” একইসঙ্গে, সত্যপাল মালিক এও জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “কৃষকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সরকারের অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা উচিত।”