দফার দিক থেকে ৫০ শতাংশ ভোট শেষ হয়ে গেল বাংলায়। আট দফার ভোটের চার দফা শেষ। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভোটগ্রহণ হয়ে গেল। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি-তে ভোটের পালা শেষ। বাকি থাকল ১৫৯টি আসনে ভোট।

এবার প্রশ্ন, এই চার দফায় কারা এগিয়ে থাকল। যদিও ভোট মানেই গোপন জিনিস। একজন ভোটার শেষ অবধি কাকে ভোট দিল সেটা বোঝার কোনো উপায়ইনি। তার ওপর আবার রাজনৈতিক সমীকরণের দিক এত কঠিন একটা নির্বাচন। তবে এতে তো আর জল্পনা থেমে থেকে না।

আরও পড়ুন: রক্তে ভাসা চতুর্থ দফা, উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

তৃণমূলের অন্দরে কানপাতলে শোনা যাচ্ছে, এই চার দফায় ১৩৫টি আসনের মধ্যে ১০০+ আসনে জেতার সম্ভাবনা আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী চেষ্টা করলেও তৃণমূলের নিচু স্তরের উৎসাহ দমন করা যায়নি বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।

বিজেপির দাবি, উত্তরবঙ্গের যে ১৩ আসনে ভোট হয়েছে তার কোনটাতেই তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা নেই। প্রথম দফায় ২৬টি, দ্বিতীয় দফায় ২৪টি ও পরের দুটি দফায় ৬০টি আসন জেতা নিশ্চিত বলে বিজেপির নেতাদের আশা।

সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের দাবি, চতুর্থ দফায় ভাল ফাইট দেওয়া গিয়েছে। নিচুস্তরে নেতাদের লড়াইয়ের সৌজন্যে ভাল ফল হবে বলে আশা বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ নেতাদের।

ভোটে বড় অনিয়মের অভিযোগ নেই। তবে চতুর্থ দফায় ৫জনের মৃত্যু সহ বিভিন্ন দফায় বড় অশান্তির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করা চলছেই। আগামী চার দফায় ফল হবে বলে আশায় সব পক্ষই।

১৭ এপ্রিল, শনিবার পঞ্চম দফায় কোন কোন কেন্দ্রে ভোট (৪৫টি আসনে):
পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, রাজারহাট নিউ টাউন, বিধাননগর, রাজারহাট গোপালপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, বসিরহাট দক্ষিণ, বসিরহাট উত্তর, হিঙ্গলগঞ্জ, খণ্ডঘোষ, বর্ধমান দক্ষিণ, রায়না, জামালপুর, মন্তেশ্বর, কালনা, মেমারি, বর্ধমান উত্তর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল, নাগরাকাটা, কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মাটিগাড়া-নক্সালবাড়ি, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, চাকদা, কল্যাণী, হরিণঘাটা ।