নিজস্ব সংবাদদাতা: দুশো’র বেশি আসনে বাংলায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এরপরও আগামী বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কী ভাবে তিনি হেরে যাওয়ার পরও শপথ নিতে পারবেন? ভারতীয় সংবিধানে সেই কথা বলা রয়েছে। আসুন দেখে নিই।

একুশের বিধানসভা ভোটে দারুণ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ২৯২টি আসনের মধ্যে জিতেছে ২১৩টি আসনে। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি কেন্দ্র। সংযুক্ত মোর্চার তরফে ১টি ও অন্যান্যরা ১টি আসন পেয়েছে। এমন অভাবনীয় সাফল্যের পরেও তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের একটা দুঃখ রয়ে গেছে। কারণ তাদের দলনেত্রী হেরে গিয়েছেন। তবে তাঁর হার হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি থেকে যেতে পারবেন। সংবিধান তেমনই বলছে।

কেউ মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন, অথচ তিনি জনপ্রতিনিধি নন, অর্থাৎ বিধানসভা বা বিধান পরিষদের সদস্য নন, তখন তাঁকে শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে। এই রাস্তা খোলা রয়েছে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে উপ নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তবে এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিতে পারবেন। আপাতত কোনও সমস্যা হবে বলে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

বিধানসভার সদস্য নন বা হেরে গিয়েছেন, তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এমন উদাহরন ভারতীয় রাজনীতিতে প্রচুর রয়েছে। এর মধ্যে বলা যেতে পারে উত্তরপ্রদেশের রাজনাথ সিং, মুলায়ম সিং যাদব, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, আর এখনকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথা। তাঁরা সেই তালিকায় রয়েছেন।অন্যদিকে, বিহারের কথা উঠলে নাম আসবে লালুপ্রসাদ যাদব আর নীতিশ কুমারের। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ ত্রিপুরার বিপ্লব দেব আর মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরেও হেরে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।

২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ। তবে তিনি বিধানসভা বা বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন না। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই তিনি বিধান পরিষদের সদস্য হন। অন্যদিকে, তখনকার উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা এবং কেশব প্রসাদ মৌর্যেরও একই অবস্থা। তারাও বিধানসভা বা বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন না। যদিও পরে দু’জনেই বিধান পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং নিজেদের দায়িত্ব সামলেছেন।