নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪ বছর বন্ধ থাকার পর রাজ্য জুড়ে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। গত রবিবার রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ প্রার্থী টেট পরীক্ষায় বসেছেন। ভোটের আগে টেট আয়োজন নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে মিটলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না টেটের।
রাজ্য সরকার চার বছর পর টেটের আয়োজন করলেও বহু চাকরিপ্রার্থী রবিবার পরীক্ষায় বসার সুযোগই পান নি, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অবিলম্বে পুণরায় টেট পরীক্ষার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন তাঁরা। জানা গেছে, উচ্চ আদালতে মোট ১০৯ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার শুনানি হতে চলেছে চলতি সপ্তাহেই।
বস্তুত, ২০১৭ সালের আবেদনের ভিত্তিতেই রবিবার টেট আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্যের মোট ১০০০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হারটা সেখানে ছিল চোখে পড়ার মতো। সূত্রের খবর, রবিবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০% পরীক্ষার্থী। কেন এত অনুপস্থিতি? মেলেনি উত্তর।
মামলাকারীরা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই অবিলম্বে পুণরায় টেট পরীক্ষার আয়োজন করা উচিত সরকারের। এ প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেছেন, “মূলত দু’টি দাবিতে দায়ের হয়েছে মামলা। অবিলম্বে টেট পরীক্ষা নিতে হবে। আর দুই এনসিটির গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেক বছর নিতে হবে টেট পরীক্ষা।”
টেট পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিটি জেলা থেকে রিপোর্ট না এলে এই সংখ্যা বলা সম্ভব না৷ তাছাড়া সব পরীক্ষাতেই কিছু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকেন৷ এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়৷’’