নিজস্ব সংবাদদাতা- রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে বলে তাঁর অভিযোগ। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন বারবার সরকারকে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও তারা তাঁর কথা শুনছে না।

আজ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর অভিযোগ করেন, “রাজ্যে এমনই পরিবেশ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষ তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে ভয় পাচ্ছে। মানুষ কি করবে তা ভেবে উঠতে পারছেনা, দিশেহারা পরিস্থিতি। গণতন্ত্রের মুক্ত পরিবেশের অর্থ হল সবাই মন খুলে নিজের কথা বলতে পারবে।” প্রসঙ্গত জাগদীপ ধনকর রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন। রাজ্যপাল কেবলমাত্র ইস্যু ভিত্তিক সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে ব্যাপারটি মোটেও সেরকম নয়। বরং বলা যায় তিনি রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করা নিজের দৈনিক রুটিনে পরিণত করে ফেলেছেন। এর আগে অজস্রবার প্রকাশ্যে অথবা সামাজিক মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করে এসেছে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও জাগদীপ ধনকার বিজেপির দলীয় সদস্যের মতো আচরণ করছে। বারবার অভিযোগ উঠেছে রাজভবনকে বিজেপির দলীয় অফিসে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে রাজ্যপাল নিয়ম করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠায় তার কথার গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে, রাজ্যবাসী তার কথায় আর বিশেষ গুরুত্ব দেয়না বলে তাদের অভিমত।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বারবার জাগদীপ ধনকরকে নিশানা করেন। তিনি আজ অভিযোগ করেন রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে বসে থেকেও জাগদীপ ধনকর জনসমক্ষে অসত্য কথা বলছেন। তার দাবি, “দেশজুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার নয় ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর। কেউ বন্দুক ব্যবহার করে ভয় দেখায় কেউ আবার রাজ্যপালের মতো পদে বসে থেকে মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ওনার কাছে আমার একটাই আরজি এরকম সাংবিধানিক পদে থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য না করে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।”