নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। আর শুধু এদেশেই নয়, ভাইরাসে নাজেহাল বিদেশীরাও। বিশ্বজুড়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সদ্য আবিষ্কৃত টিকা কতটা নিরাপদ? সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের এক ঘটনায় উঠে গেছে সেই প্রশ্ন।

করোনার টিকা নেওয়ার পর এক মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। তবে এই অসুস্থতা বিরল। অভিযোগ টিকা নেওয়ার পর তাঁর পায়ে ফোস্কা পড়তে শুরু করেছে। লাল ফোস্কার পাতলা চামড়ার ভিতরে জমাট বাঁধা রক্ত বাইরে থেকেও স্পষ্ট। আর তাতেই নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়ে এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি কারোর শরীরেই।

জানা গেছে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা সম্প্রতি ভ্যাকসিন নিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নির্মিত অ্যাস্ট্রোজেনিকা ভ্যাকসিনই নিয়েছেন তিনি। সারা বুকম্যান নামের ওই মহিলা সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। এরপরে তাঁর শরীরে ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা দিয়েছিল।তা স্বাভাবিক হলেও এরপর যা হয় তা মোটেই স্বাভাবিক নয়।

ভ্যাকসিন নেওয়ার এক সপ্তাহ পরে তিনি পায়ে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন। এরপরে, গোড়ালির চারপাশে লাল ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়ি বাড়তে বাড়তে হয়ে যায় বড় ফোস্কা। রক্তের ফোস্কা। বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন তিনি। তাঁকে কুইন এলিজাবেথ ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সারা জানিয়েছেন, পায়ের অবস্থা দেখে একসময় তাঁর মনে হয়েছিল পা হয় তো কেটে বাদ দিতে হবে। কিন্তু চিকিৎসকরা এখনই তেমন কোনও সম্ভাবনার কথা জানাননি। তবে অ্যাস্ট্রোজেনিকা ভ্যাকসিনের এহেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাড়া ফেলেছে চিকিৎসক মহলেও। ব্রিটিশ চর্ম বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে মহিলার যেটা হয়েছে তা খুব বিরল প্রতিক্রিয়া। তবে নিজের এমন দশার পরও বুকম্যান ব্রিটেনবাসীকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এবং তাঁদের সচেতনতা বাড়াতে নিজের গল্পটিও বলছেন।