নিজস্ব সংবাদদাতা- দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে নিজের গড়ে প্রবেশ করতে চলেছেন শোভন চ্যাটার্জি। দোসর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন-বৈশাখী জুটির আগমন নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি কলকাতার এই প্রাক্তন মহানগরীকে বিবাহিতা স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জী। রাজনৈতিক মহল অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিল কবে শোভন চ্যাটার্জি নিজস্ব খাসতালুক বেহালায় প্রবেশ করবেন। আগামী মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি বেহালা ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঠাকুরপুকুর বাজার পর্যন্ত বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটির পদযাত্রার আছে। সেখানেই একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কাননের।

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বেহালার পর্ণশ্রীর পৈতৃক ভিটে ছেড়ে গোলপার্কের কাছে ফ্লাটে উঠে যান শোভন চ্যাটার্জি। তারপর হাতে গোনা কয়েক বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আসেন তিনি। কিন্তু বছর দুয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আর বেহালার ধার মারাননি তিনি।

অথচ শোভন চ্যাটার্জি যেমন বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, তেমনি কলকাতা পুরসভার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ওই ওয়ার্ড এবং বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে শোভনের ওয়ার্ডের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে তার স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জির হাতে। ঘটনা হল রত্না দেবীর সঙ্গে ব্যক্তিগত দূরত্বের কারণেই মূলত দল ছাড়েন শোভন।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর সম্প্রতি তিনি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাকে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করে রাজ্য বিজেপি মূলত এই অঞ্চলের যাবতীয় দায়িত্বভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কিচেন ক্যাবিনেটের’ একসময়ের এই সদস্যের হাতে সঁপে দিয়েছে। তারপরই শোভন চ্যাটার্জি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ছাড়াও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নানাপ্রান্তে সভা সমাবেশ করেছেন, কিন্তু বেহালায় এই প্রথম তিনি প্রবেশ করবেন।

বেহালায় শোভন চ্যাটার্জীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজিপির দুই রাজনৈতিক দলেই কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। মূলত তাকে তার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষজন কেমন ভাবে গ্রহন করে নেন তার ওপর আগামীদিনের অনেক রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে।