নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ২৭ মার্চ থেকে করোনা আবহের মধ্যেই বাংলায় চলছে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লাগাতার প্রচারে আসছেন বঙ্গে। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল-সভায় উপচে পড়ছে ভিড়। গেরুয়া শিবিরের দেখাদেখি পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। চোটগ্রস্ত পা নিয়েই হুইলচেয়ারে বসে গোটা বাংলা চষে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে ঝড় তুলছে সংযুক্ত মোর্চাও। তবে সিপিএম আগেই জানিয়েছে, করোনা আবহে বড় জমায়েত আর তারা করবে না। তাই এ বার বিকল্প পথে হেঁটে আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নির্বাচনী প্রচার শুরু হল বামেদের। আর প্রার্থী তালিকার মতো সেখানেও বক্তাদের তালিকায় সেই যুব নেতৃত্বই।

নিজেদের কেন্দ্রে ভোটপর্ব মিটতেই অন্যান্য বিধানসভায় প্রচারে গিয়েছেন দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। তাঁরাই এবার সিপিএমের ‘তারকা’। দূরদর্শন ও আকাশবাণীতেও বক্তা তাঁরাই। বাকি ৩ দফা ভোটের আগে সরকারি গণমাধ্যমে ৩ দফার প্রচার করবে সিপিএম। ১৮ এপ্রিল যার প্রথম দিন ছিল। গতকাল সন্ধ্যা ৮টা ১০ মিনিটে আকাশবাণীতে শোনা যায় মীনাক্ষীর কণ্ঠ। এরপর ৮টা ৫৫ মিনিটে বক্তব্য পেশ করেন সৃজন ভট্টাচার্য। দূরদর্শনে সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় সম্প্রচারিত হয় দীপ্সিতা ধরের বক্তব্য, সন্ধ্যা ৬টায় সম্প্রচারিত হয় মীনাক্ষীর বক্তব্য। ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে সিপিএমের এই বিকল্প প্রচারে বক্তা হিসেবে রয়েছেন সিটুর রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও।

গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বামফ্রন্টের ভোট ব্যাপক হারে কমেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এ বার বামেদের ভোট শতাংশ বাড়তে পারে। কয়েকদিন আগে পর্যন্তও নবীনদের জায়গা না করে দেওয়ার অভিযোগ উঠত সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের ওপর। সেই অভিযোগ এ বার একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মীনাক্ষীকে ‘আমাদের নেত্রী’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সেলিম। যা নজিরবিহীন মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।