নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল কয়লা কাণ্ডে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) নোটিশ ধরানোর পর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার মধ্যেই গতকালই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে অসঙ্গতি এবং বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে নোটিশ ধরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এরমধ্যেই সামনে এল সত্যতা। তাঁর মেয়েকে ইডির তরফ থেকে কোনও নোটিশই দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানালেন ফিরহাদ। এমনকি মিথ্যে প্রচার করলে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানিয়েছেন, আজ সকাল পর্যন্ত তেমন কোনও নোটিশ তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি।

প্রিয়দর্শিনীকে নোটিস ধরানোর বিষয়টি ইডি সূত্রেই সামনে এসেছে। তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই নোটিশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ফিরহাদ। এ দিন নেটমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন প্রিয়দর্শিনী নিজেও। তাঁকে ইডি তলব করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা একেবারেই মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। প্রিয়দর্শিনী লেখেন, “আমার বাবা রাজনীতিক। তাঁকে বদনাম করতেই এই ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং তাঁকে হেনস্থা করতে আমাকেও টেনে আনা হচ্ছে। কারণ ছেলেমেয়েই বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। বিরোধীদের হেনস্থা করতে আমাদের দেশের সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে।”

এদিকে, তিনি রাজনীতিতে যুক্ত বলেই খামোকা তাঁর মেয়েকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদও। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা রাজনীতি করে। বিজেপি-র সামনে মাথা নত করে না। বরং সত্যি কথা বলার সাহস রাখে। সেটাই কি ওর দোষ? নইলে শুধু শুধু ওর নাম টেনে আনা হচ্ছে কেন?’’ মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার ঘিরে ‘দুর্নীতি’র যে অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রিয়দর্শিনীকে নোটিশ পাঠানোর কোনও যোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ও যে চাকরি করে, তার সঙ্গে মেট্রো ডেয়ারির কোনও সম্পর্কই নেই। শুধু শুধু তাতে ওকে জড়ানো হবে কেন?’’

উল্লেখ্য, গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ ধরানোর পিছনে বিজেপি-র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূলের বহু নেতারা। তাহলে কি প্রিয়দর্শিনীও একইরকমভাবে বিজেপির নোংরা রাজনীতির শিকার হচ্ছেন? প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সোমবার সকাল পর্যন্ত কোনও নোটিশ পাইনি আমরা। বিজেপি-র মাথায় অনেক কিছু ঘুরছে। চাইলে মামলা করতেই পারে ওরা। সে ক্ষেত্রে আদালত রয়েছে। সেখানেই সব বুঝে নেব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিশই তো পাইনি। তাই যারা এই ধরনের মিথ্যে প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা করব।’’