কনডোমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই প্রথম সিনেমা করছে বলিউড

বলিউডে অনেকরকম বিষয় নিয়ে সিনেমা হয়। অক্ষয় কুমার তো শেষমেশ স্যানিটারি প্যাড নিয়েও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু কনডোম নিয়ে সিনেমা বলিউডে এই প্রথম।

নুসরত ভারুচাকে খুব শীঘ্রই ” জনহিত মে জারি ” নামক এই সিনেমায় দেখা যাবে। এই সিনেমায় নুসরাতের চরিত্রের নাম হল নীতি, যিনি একজন সেলস গার্ল এবং সেখানে একটি কনডোম তৈরির কোম্পানিতে কাজ করেন। তার কাজ কনডোম বিক্রি করা। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা যখন এই কাজের কথা জানতে পারেন তখন তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু সবার বিরক্তি সহ্য করেও তিনি কনডোম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেন।

INS-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নুসরাত বলেন, ‘যখনই আমরা কনডোমের বিজ্ঞাপন দেখি, দেখা যায় যে কনডোম ব্যবহার করলে একজন কতটা ভালো বোধ করেন বা কতটা ভালো বোধ করাতে পারেন। তাই আমরা সবসময় এর মাধ্যমে পুরুষের একটা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার চেষ্টা করি, যাতে একজন পুরুষই এই বিষয়ে বেশি মনোযোগ দেয়। কিন্তু আমাদের ফিল্ম এই চিন্তাধারা পরিবর্তন করেছে কারণ কনডোম ব্যবহার একজন নারীর জন্য পুরুষের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।নুসরাত আরও বলেন, ‘ একজন পুরুষ যদি একবার কনডোম ব্যবহার না করেন, তাহলে তার কোনো সমস্যা নেই।

কনডোম

কিন্তু একজন মহিলা এর কারণে গর্ভবতী হতে পারেন এবং তার শরীরে অনেক পরিবর্তন হতে শুরু করে। হ্যাঁ গর্ভপাত একটি বিকল্প, কিন্তু এটা সবসময় সঠিক? একজন নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর কী প্রভাব পড়ে? তাই কোনো ছেলে যদি কনডোম কিনে সাথে রাখতে পারে, তাহলে মেয়েদেরও স্যানিটারি প্যাডের মতো কনডোম রাখা উচিত কারণ এটা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়।

ছবিটিতে নুসরাতের সঙ্গে প্রধান চরিত্রে কাজ করেছেন অনুদ। তিনি বলেন, ‘ আমাদের দেশে যে কত কম সুরক্ষার ব্যবহার করা হয়, তার প্রমাণ আমাদের দেশের জনসংখ্যা। আজও, কিছু ছোট শহরে, মহিলারা কনডোম কেনার ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ করেন এবং এটি অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থার দিকে তাদের পরিচালিত করে। শেষে, উভয় অভিনেতা অভিনেত্রীই বলেছেন যে এই ছবির বিশেষ বিষয় হল এই জটিল সংবেদনশীল বিষয়টিকে হাস্যরসের সাথে দেখানো হয়েছে। ছবিটির গল্প লিখেছেন রাজ শান্ডিল্য এবং পরিচালনা করেছেন জয় বসন্তু সিং। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন আলালা তিন্নু আনন্দ, বিজয় রাজ এবং ব্রিজেন্দ্র কালা। 10 জুন ছবিটি মুক্তি পাবে।