কপি পেস্ট যেমন স্কুল কলেজের এসাইংমেন্টে বা পরীক্ষার পাতায় হয় ঠিক তেমনই কিন্তু সিনেমাজগতের ক্ষেত্রেও এই ধরনের কার্যকলাপ ঘটে থাকে হয়। বাংলার সিনেমার অনুকরনে হিন্দিতে, দক্ষিনী ছবিব অনুকরনে হিন্দিতে , হিন্দিকে অনুকরন করে বাংলায় চলেই আসছে, তার মধ্যে কোন রাক ঢাক নেই যথাযত সম্মতি নিয়েই করা হয়, কিন্তু  যদি  ভুলবশত কিংবা ইচ্ছাকৃত অনুমতি না নেওয়া হয় তলে খানিকটা ঐ এক্সাম হলে টিচারের সেই খাতায় লাল কালি দিয়ে নম্বর কাটার মতো বিষয় হয় সোজা ভাষায় বললে কপিরাইট অ্যাক্টের আওতায় চলে আসে ।

সম্প্রতি ২০১৯ সালে সাহিদ কাপুর অভিনীত ও সন্দীপ ভাঙ্গ পরিচালিত  কাবীর সিং  তৈরি হয় ২০১৭ সালে সন্দীপ ভাঙ্গেরই পরিচালিত আর্জুন রেড্ডি  সিনেমার অনুকরনে, এটা বলা যেতে পারে হিন্দি ভার্শন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেটি ব্যপক সাড়া ফেলেছে। ইয়ং জানারেশের অনেকেই চায় কবীর সিংয়ের মতো কাউকে,নিজের সঙ্গী হিসেবে।  রাফ এন্ড টাফ, একটু শর্ট টেম্পার কিন্তু মনের দিক দিয়ে ভালো আর প্রেমের ক্ষেত্রে দিল দোরিয়া, ভালবাসার কাঙাল, ভালবাসার জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে নিজের প্রেমিকাকে।

কবীর সিং দেখার পর ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে  যাদের  প্রেম রয়েছে বা যাদের সবে মাত্র প্রেমের রং লেগেছে, বা যারা প্রেমে পড়বে পড়বে বলেও পড়তে পারেনি বা মনের মানুষের কাছে মনের ভাবের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারেনি তাঁদের মনের ভেতর থেকে একটাই গানের সুর ভেসে আসছে

“ আমায় ডুবাইলি রে, আমায় ভাসাইলি  রে, অকুল দড়িয়ায় বুঝি কুল নাইরে।” 

 তামিল ও  হিন্দীতেও তৈরি কবীর সিং যদি বাংলায় পরিচালিত হত তালে কেমন হত।  বাংলায় হলে  কোন অভিনেতাকে কবীর সিংয়ের চরিত্রে মানাত। চলুন ভাবা যাক। টলিউডের কোন তিন নায়ক কে কবীর সিংয়ের ভূমিকায় বেশ লাগবে।

যে তিন অভিনেতা কবীর সিংয়ের ভূমিকায় মানানসয়ী

অনির্বান ভট্টাচার্য

 তাকে ভার্সাটাইল অভিনেতা বললেও কম হবে। এমন কোন চরিত্র নেই তাকে মানায় না, কমেডিয়ান,  ভিলেন, ডিটেকটিভ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, লাভার বয় সব চরিত্রেই নিজেকে তুলে ধরেন অতুলনীয় রূপে। সব রকম চরিত্রে তার আবেদন অনবদ্ধ। অভিনয়ের পরিমাত্রা কোথায় কি রূপ হওয়া উচিৎ তা তার অভিনয়শৈলী দ্বারা প্রমানিত। তাই কবীর সিংয়ের ভূমিকায় তাকেই প্রথম সারিতে রাখা উচিৎ। সে যতই শান্ত স্বভাবের হোক না কেন তার মধ্যেএকটা হালকা অ্যাংরি ইয়ং ম্যান  ব্যপার আছে এবং প্রেমের আবেদন ও তার মধ্যে সাঙ্গাতিক মাত্রায়, কারন ব্যোমকেশ বক্সী তে সে দুর্ধস্য রোমান্টিকতার পরিচয় দিয়েছে। সে হিসেবে দেখতে গেলে বাংলায় যদি তাকে কবীর হিসেবে দেখা হয় তাহলে তার কাছে কিন্তু বিষয়টি নস্যি। তাই বাংলার কবীর হিসেবে তার নামই তালিকার প্রথমে রাখা যায়।

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

পরমব্রতের কথা উঠলে অনেকেই ভাবতে পারেন যে ওকে কি আদৌ মানাবে। কিন্তু পরমব্রতকে সত্যি অসাধারন লাগবে এই চরিত্রে। কারন তার মধ্যে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার দক্ষত্তা রয়েছে। অভিনয় রয়েছে তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আর পরমের মতো রোমান্স হয়তো কারোর দ্বারা সভব নয়। রোমান্সের ভিন্ন ভিন্ন পন্থা তার জানা আছে, হেমলক সোসাইটিতে আলত ভালোবাসা হোক বা দ্বিতীয় পুরুষে সম্পর্কে বাঁধা আশার দুঃখ অনুভব তার বেশ ভালই রপ্ত। তাই কবীর সিংয়ে যে রোমান্স দেখনো হয়েছে সেটা তার কাছে তেমন কোন কষ্টসাধ্য বিষয় নয়। আর রগচটা চরিত্রে সে আগেও অভিনয় করেছে।  ২২ শে শ্রাবণের যদি তার চরিত্র দেখা যায় সেখানে কবীরের সাথে পেশাগত দিক দিয়ে না মিললেও বাকি দিক অর্থাৎ শর্ট টেম্পার, কথায় কথায় গালি আর গার্লফ্রেন্ডের দিকে কেউ চোখ তুললে তার উপর বেজায় ক্রোধ দেখানো এই বিষয়গুলি মিলেই যায় ।  তাই সবকিছু মিলিয়ে কবীর সিংয়ের চরিত্রে তাকে উপস্থাপন করা হলে যে বেশ ভালোই মানাবে তা  বুজতে অসুবিধা নেই ।

অঙ্কুশ হাজরা

আমরা তাকে বেশীর ভাগ কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করতে দেখেছি। অর্ধেকের বেশী সিনামাতে ফান লাভিং ও রোমান্স গুরু হিসেবে  সে নিজেকে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু সে ভিলেন ও জুলফিকারে যে ধরনের অভিনয় করেছেন তাতে যে ফান লাভিং ছাড়া অন্য কোন অভিনয়ের উপর তার দক্ষতা নেই এই ধারনাটা ভুল প্রমান করেছে।  কবীর সিং এর যে লুক ছিল তার সাথে অঙ্কুশ এর লুকটাও বেশ জাবে। এবং তাকে মানাবেও দারুণ। অনেক জায়গাটেই তার যে অ্যাটিটিউড তা কবীর সিং চরিত্রের সাথে বেশ মানানসয়ী। তাই বাংলায় কবীর সিং হলে তার নামও তালিকাভুক্ত হবে।

বাংলায় কবীর সিং  তৈরি হলে কবীরের চরিত্রে এই তিন নায়কের মধ্যে আপানার কাকে সেরা হিসেবে মনে হয়। এই তিনজনর মধ্যে আপনার ভোট কার দিকে পড়বে অবশ্যই আমাদার জানান।

1 COMMENT