covid-19-vaccine

দেশে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সৃষ্ট দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়েও বেশি প্রাণঘাতী প্রমাণিত হতে পারে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্য কোভিড উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডঃ নিশান্ত খারে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে প্রতিদিন লাখ লাখ করোনা আক্রান্তের পরিস্থিতি প্রকাশ পাচ্ছে।

শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে, নিশান্ত খারে বলেছিলেন যে দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে তৃতীয় তরঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা যাবে। তিনি বলেছিলেন যে দ্বিতীয় তরঙ্গে, আমরা যদি ইন্দোর জেলার কথা বলি, তবে একদিনে 1800 জনেরও বেশি সংক্রামিত লোক মুখোমুখি হয়েছিল।

তবে এবার একদিনে ৫ হাজারের বেশি সংখ্যা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি অনুমান করেছিলেন যে গ্রামীণ অঞ্চলের পাশাপাশি শহুরে জনবসতিতেও বিপুল সংখ্যক করোনা আক্রান্ত বেরিয়ে আসতে পারে। তিনি বলেন, করোনার নতুন রূপ, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট, যাদের ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ রয়েছে, তারা অতীতে সংক্রমিত হতে পারে এবং এখনও সংক্রমিত হয়নি।

COVID-19 - করোনা

তাই একেবারেই অসতর্ক হবেন না এবং কোভিড প্রোটোকল মেনে চললেই করোনা এড়ানো যায়। এর আগে, রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী তুলসিরাম সিলাওয়াত, জেলা কালেক্টর মনীশ এবং ডাঃ খারে এখানে খান্ডোয়া রোডে অবস্থিত রাধা স্বামী সৎসঙ্গ কোভিড কেয়ার পরিদর্শন করেছিলেন।

আইআইটি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন- প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ লাখ মামলা পাওয়া যায়

আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মহেন্দ্র আগরওয়ালও করোনা বিস্ফোরণের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষ নাগাদ দেশে করোনা সংক্রমণ চরমে উঠবে। দেশে প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ লাখ নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ঢেউ অবশ্যই কিছুক্ষণের জন্য আসবে, তবে তা দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে। এই হিসেব থেকে এটা স্পষ্ট যে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ ছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থামবে না। এ ছাড়া গত বছরের মতো এ ঢেউয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ দেখা যাবে না।