নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার সেকেন্ড ওয়েভের জেরে একেবারে টালমাটাল পরিস্থিতি গোটা দেশের। রোজ বিপুল হারে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এবারের ধাক্কা আরও মারাত্মক। শ্বাসের সমস্যা বেশি হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের। তার মধ্যে আবার কোভিডের নয়া মিউট্যান্ট প্রজাতিও ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। তবে লকডাউন ঘোষণা না হওয়ায় এখনও এই সংক্রমণের মধ্যেও খানিকটা বাধ্য হয়েই বাইরে বের হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। বাসে-ট্রেনে বা গাড়িতেও চাপতে হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তার উপায় বললেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা এখন যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে একটা মাস্কে আর রক্ষা নেই। রাস্তায় বের হলে বা ভিড়ের মাঝে যেতে হলে দুটো করে মাস্ক পরাই বেশি জরুরি। জোড়া মাস্ক কিছুটা হলেও নাক-মুখ দিয়ে ভাইরাস ঢুকতে বাধা প্রদান করবে। মহারাষ্ট্রের কল্যাণের ফোর্টিস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ কীর্তি সাবনিস এই বিষয়ে বলছেন, দুটো করে মাস্ক পরলে সংক্রমণ থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে। ডাবল মাস্কিং কোভিডের সংক্রমণ ৯৬.৪ শতাংশ রুখে দিতে পারে।

তবে এই ডাবল মাস্কিং বিষয়টি কী? ডাবল মাস্কিং হল, দুটো করে ফেস-মাস্ক পরা। একটার ওপর আরেকটা। নাক ও মুখ ঢেকে প্রথম মাস্কটা একটু টাইট করে পরতে হবে। তার ওপর চাপাতে হবে আর একটা। দুটো মাস্ক একসঙ্গে ঠিক মতো পরলে তা চেপে বসবে নাক ও মুখের ওপরে। ফলত ভাইরাসের কণা চট করে শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। মাস্কের দুটো ফিল্টার লেয়ার পর পর থাকায়, ভাইরাসের জলকনা মাঝপথেই আটকে যাবে। এর ফলে সংক্রমণ থেকে অনেকটা সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

কীভাবে পরবেন দুটো মাস্ক? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দুটো মাস্ক একসঙ্গে পরার একটি বিশেষ নিয়ম আছে। যে কোনও দুটো মাস্ক বেছে নিলে হবে না। নীচের মাস্কটা হতে হবে সার্জিক্যাল মাস্ক, তার ওপররেটা কাপড়ের মাস্ক। আগে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে তার ওপরে কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে। অথবা দুটো কাপড়ের মাস্কও পরা যেতে পারে। আবার তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক হলে সেটা পরে তার ওপর হাল্কা কাপড়ের বা ফ্যাব্রিকের মাস্কও চাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে জোড়া মাস্ক যতই ব্যবহার করা হোক না কেন, সাথে স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে মানতে হবে শারীরিক দূরত্বও।