নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চে টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যে যোগাযোগ দেখা যাচ্ছে, তা ভোট পূর্ববর্তী আবহে নতুন করে উত্তাপ বাড়াচ্ছে,সন্দেহ নেই। রাজনীতির রং ফাটল ধরাচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও।বিজেপি সমর্থকদের বিরোধিতা প্রসঙ্গে গতকালই সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্তের মতো অভিনেত্রীদের এক হাত নিয়েছিলেন গেরুয়া নেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। টেলিপাড়ার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মন্তব্যেরই এবার পরোক্ষ জবাব দিলেন সায়নী ঘোষ।
অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার সূত্রে সায়নী ঘোষ এবং কাঞ্চনা মৈত্রের মধ্যে সদ্ভাব থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই আপাত ‘সু’সম্পর্কে এবার ছাপ ফেলেছে রাজনীতি। অন্তত সায়নী ঘোষের ফেসবুক পোস্টের পর তেমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কাঞ্চনা মৈত্রেকে এদিন ‘যোগ্য জবাব’ দিয়েছেন সায়নী, মত নেটিজেনদের।
বস্তুত, বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল কাঞ্চনা মৈত্রের এক মন্তব্যকে ঘিরে। সম্প্রতি বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ এবং দেবলীনা দত্ত, তার বিরুদ্ধেই মুখ খোলেন কাঞ্চনা। সায়নী দেবলীনাদের প্রতি তাঁর বক্তব্য, “চ্যানেলের বক্তব্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বোঝা যাবে না। তার জন্য পুরুলিয়ায় গিয়ে মানুষের খাদ্যাভাব দেখুন, মুর্শিদাবাদে ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে মানুষের উদ্বেগ জানুন। মাঠে নামুন। কী খেয়েছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।” সায়নী বা দেবলীনা কেউই বাংলার মানুষকে জানতে আগ্রহী নয় বলেই মনে করেছেন কাঞ্চনা মৈত্র।
এদিন কর্মসূত্রে ‘দিদি’ স্থানীয় কাঞ্চনা মৈত্রের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সায়নী ঘোষ। কাঞ্চনা মৈত্রের সঙ্গে কোনো এককালে তোলা একটি ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন তিনি। সরাসরি জবাব না দিলেও ছবির সঙ্গে রবি ঠাকুরের এক বিখ্যাত গানের কয়েক পংক্তি তুলে দিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “ভালোবেসে ‘দিদি’ নিভৃতে যতনে / আমার নামটি লিখো তোমার/ মনের মন্দিরে/ আমার পরাণে যে গান বাজিছে তাহার তালটি শিখো তোমার/ চরণ মঞ্জিরে।” বলা বাহুল্য, ‘সখী’ শব্দের বদলে ‘দিদি’ শব্দ ব্যবহারের শ্লেষ নজর এড়ায়নি কারোরই। যথারীতি শুরু হয়েছে চর্চা। উল্লেখ্য, সায়নী ঘোষের তৃণমূলী রাজনীতিতে যোগদান নিয়েও ইতিমধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।