“তুই আমাদের নবীর বিরুদ্ধে লিখেছিস, তোর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আমরা তোদের মতো কাফের হিন্দুদের শেষ দেখে ছাড়বো”। কানহাইয়ালালের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করার সময়, অভিযুক্তরা এই কথাগুলোর মাধ্যমে সেই ভয়ঙ্কর বিষ উগড়ে দিচ্ছিল যেটা পাকিস্তান ও সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের মাথায় গেঁথে দিয়েছিল। কানহাইয়ালাল হত্যা মামলার বিষয়ে রাজস্থান পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআর-এও এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
নিউজ 18-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ ইউএপিএ এবং আইপিসির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্তটি এখন এনআইএ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং এনআইএ একই ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে। UAPA এর 16, 18 এবং 20 ধারাও আরোপ করা হয়েছে, যেগুলো কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে এবং কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
কানহাইয়ালালের 20 বছর বয়সী ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজস্থান পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর-এ কানহাইয়ার ছেলের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, “এই দুই খুনিরা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করতে একটি দল হিসেবে আক্রমণ করেছিল। অপরাধের ষড়যন্ত্র করার পর সে আমার বাবাকে হত্যা করে এবং অন্যদের হুমকি দেয়।
এফআইআর অনুসারে, নিহতের ছেলে বলেছেন যে তাকে প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে এক আত্মীয় ফোনে জানায় যে তার বাবাকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি যখন সেখানে পৌঁছলাম তখন দোকানের বাইরে বাবার লাশ পড়ে ছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। বাবার ঘাড়ে, বাম হাত এবং মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। দু’জন লোক 3টার দিকে গ্রাহক হিসাবে দোকানে প্রবেশ করে এবং তাদের কুর্তা সেলাইয়ের জন্য পরিমাপ নিতে বলে। তারপরই হঠাৎ করে কাপড়ে লুকিয়ে থাকা অস্ত্র বের করে দুজনে বাবার ওপর হামলা শুরু করে। হামলার সময় দুজনেই বলছিলেন, ‘ তুই আমাদের নবীর বিরুদ্ধে লিখেছিস। তোর বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমরা তোর মতো কাফের হিন্দুদের শেষ দেখে ছাড়বো “।
এরকম একটা নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধেও অনেকে ধার্মিক অনুপ্রেরণার যোগান দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দুদের মধ্যে রীতিমত প্রতিশোধ স্পৃহা লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলা খবরের পক্ষ থেকে সকলের কাছে এইটুকুই অনুরোধ, যে কেউ খারাপ করলে তার ধর্ম বা জাতির বিরুদ্ধাচারণ না করে তাদের হতবুদ্ধির মধ্যে সংস্কারের প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন। আমরা যুদ্ধ বা অশান্তি চাইনা। আদিম যুগের মানসিকতা একেবারেই নিজেদের মধ্যে পোষণ করবেননা। আমাদের এই মানসিক বিবর্তনে বেশ কিছু সময় লেগেছে, সেগুলোকে সময় নষ্টের আখ্যা দেবেননা।