কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সেস ব্যবহার করা হয় কিচেনে আপনার কাজ সহজ করার উদ্দেশ্যে। রান্নাঘর বাড়ির এমন একটি স্থান যেখানে সমগ্র পরিবারের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয়ে থাকে। রান্নাঘর বা কিচেনে কাজ করবার সময় কিছু জরুরি কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস ব্যবহার করলে আপনার কাজও অনেক সহজেই আপনার ও সময় কম লাগে। তার সাথে সাথেই এই অ্যাপ্লায়েন্সেস গুলি আপনার কিচেনের শোভা বাড়াতে সাহায্য করে। তুবে আর দেরি কিসের চলুন দেখে নিই পাঁচটি জরুরি কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস।
১. ইলেকট্রিক কেটেলঃ
এই কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স টি আপনি আপনার কিচেনে অবশ্যই রাখবেন। ইলেকট্রিক কেটেল খুবই সহজ একটি কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স। এটির ব্যবহারে আপনি আপনার কাজ খুব অল্প সময়ে করে নিতে পারবেন। কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন ভাবছেন গরম জলের সুবিধা সব জায়গায় পাবেন কিনা সঙ্গে করে নিয়ে যান। ইলেকট্রিক কেটেল আকারে বেশ ছোট হলেও কাজে কিন্তু এর জুড়ি মেলা ভার। এটি ব্যবহার করতে শুধুমাত্র আপনার ইলেকট্রিকেরই প্রয়োজন পড়বে। চা করা, জল গরম করা, দুধ ফোটানো এই সবকিছু আপনি এটির মাধ্যমে করতে পারবেন। ইলেকট্রিক ক্যাটেল এর সব থেকে বড় বিশেষত্ব হলো এটির দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকারো পেয়ে যাবেন। তাই দাম নিয়ে কোনোরকম চিন্তা ভাবনা না করে এই ঠান্ডায় বাড়িতে নিয়েই আসুন ইলেকট্রিক কেটেল।
২. মাইক্রোওয়েভঃ
মাইক্রোওয়েভ বাড়িতে রাখা খুবই জরুরি। কেক বেকিং থেকে শুরু করে তান্দুর পর্যন্ত আপনি মাইক্রোওয়েভে বানাতে পারবেন। এছাড়াও খাবার গরম করার ক্ষেত্রেও মাইক্রোওয়েভ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি নরমাল পদ্ধতিতে গরম করা সম্ভব হয় না, সেগুলি মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে গরম করা উচিত। এছাড়াও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বাইরে থেকে আনা কোন খাবার সঠিক মাত্রায় গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ একটি সঠিক বস্তু বলে মনে করা হয়।মাইক্রোওয়েভের দাম ২৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার অব্দিও পাওয়া যায়। আপনি আপনার বাজেট ও পরিবারের সদস্য অনুযায়ী মাইক্রোওয়েভ কিনতে পারেন।
৩. ইন্ডাকশনঃ
কিচেনের আর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লায়েন্সেস হলো ইন্ডাকশন। তৎকালীন সময়ে রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে ইন্ডাকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কিচেন অ্যাপ্লায়ান্সে পরিণত হয়েছে। কর্মসূত্রে একা থাকছেন বা পরিবারের সদস্যসংখ্যা অল্প যদি হয় তবে ইন্ডাকশন আপনার জন্য খুবই উপকারী একটি অ্যাপ্লায়েন্স বলা চলে। হুট করে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে, কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না এই সময়ে আপনার পরিত্রাতা হিসেবে কিন্তু ইনডাকশনই কাজে আসবে। ইনডাকশনে রান্না করা খুবই সহজ প্রকৃতির। আপনাকে শুধু পদ্ধতিটি জানতে হবে ব্যাস তাহলেই আপনার কাজ শেষ। প্রথম প্রথম ইন্ডাকশন মার্কেটে আসার সময় বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এখন আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ইন্ডাকশন পেয়ে যাবেন। চাইলে আপনি অনলাইনেও কিনতে পারেন। তবে আর অপেক্ষা না করে আজই বাড়িতে ইন্ডাকশন নিয়ে আসুন।
৪. রাইস কুকারঃ
রাইস কুকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স। রাইস কুকার এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই চটজলদি সঠিক সময়ের মধ্যে ভাত বানিয়ে নিতে পারবেন। রাইস কুকার ব্যবহার করার পদ্ধতি হলো প্রথমে কিছুটা পরিমাণে জল দিয়ে তার মধ্যে তার থেকে কম পরিমাণে চাল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। ভাত হয়ে গেলে রাইস কুকার নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে। রাইস কুকার এর মাধ্যমে আপনার ভাত পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা টি ও থাকবে না ও তার সাথে সাথেই ভাতের মাড় গালার চিন্তাও থাকবে না। রাইস কুকার 3 হাজার টাকা থেকে 50 হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ভাতের মাড় গালা থেকে নিস্তার পেতে চান তাহলে আজই নিয়ে আসুন রাইস কুকার।
৫. মিক্সার গ্রাইন্ডারঃ
কিচেনের আরেকটি অন্যতম অ্যাপ্লায়েন্স হলো মিক্সার গ্রাইন্ডার। মসলা বাটা বাটি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য মিক্সার গ্রাইন্ডার একটি অন্যতম কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স। পুরাতন সময়ে মসলা বাটা বাটির জন্য সাধারণত শিলনোড়া ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখনকার দিনে শিলনোড়ায় বাটাবাটি করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা তার সাথে সাথেই শিলনোড়ায় বাটাবাটি করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। ঠিক এই কারণেই শিলনোড়ার পরিবর্তে এখনকার কিচেনে মিক্সার গ্রাইন্ডার জায়গা করে নিয়েছে। মিক্সার গ্রাইন্ডার স্বল্প সময় সাপেক্ষ ও কম পরিশ্রমে আপনার কাজ আরো সহজ করে তুলেছে। মার্কেটে মিক্সার গ্রাইন্ডার বিভিন্ন রকম রেঞ্জে পেয়ে যাবেন। তাহলে আর দেরি না করে বাড়িতে এখনই নিয়ে আসুন একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার।
তাহলে বুঝতে পারলেন এই পাঁচটি জরুরি কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স আপনার কিচেনে রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। এই পাঁচটি জিনিস শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজনই নয় বরং আপনার কিচেনের শোভা বাড়াতেও যথেষ্ট পারদর্শী। তাহলে আর দেরি কিসের? চটপট কমেন্ট করে জানিয়ে দিন কোন কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স ব্যবহার করতে আপনার সবথেকে বেশি ভালো লাগে ও এর মধ্যে কোন কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স আপনার বাড়িতে রয়েছে।