নিজস্ব সংবাদদাতা- পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আগামী এপ্রিল-মে মাসে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় ক্ষমতা হারানোর পর এই মুহূর্তে কেবলমাত্র কেরলে সরকার চালাচ্ছে বামপন্থীরা। কেরলের রাজনৈতিক গতি প্রকৃতি অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলে যায়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এবারের বিধানসভা নির্বাচন কেরলের বামপন্থীদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শেষ লোকসভা ভোটের সময় এই রাজ্যের ২০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১ টিতে জয়লাভ করে সিপিএম। বাকি ১৯ টি আসনে জয় লাভ করে কংগ্রেস। যদিও গতমাসে হয়ে যাওয়া কেরলের স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে প্রবলভাবে ফিরে এসেছে বামপন্থীরা।

জানুয়ারি মাসে কেরলের পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে কংগ্রেসকে একরকম ধরাশায়ী করে দিয়েছে সিপিএমের নেতৃত্বে বামপন্থী দলগুলো। বিজেপি আশা করেছিল কেরলের স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে তারা প্রবলভাবে উঠে আসবে। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারা কেরলের পঞ্চায়েত পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে আসা সত্ত্বেও বিজেপির ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ গুলিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট এবং সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের ক্ষমতার বাইরে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উঠে আসতে চাইছে বিজেপি।

গতকাল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর উপস্থিতিতে তিরুবন্তপুরমে ৯৮ জন সিপিএম কর্মী দলত্যাগ করে বিজেপির সদস্য পদ গ্রহণ করে। মুকুল প্রভাকরণ নামে সিপিএমের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও এরিয়া কমিটির সদস্য নেতৃত্বে এই ৯৮ জন বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই সিপিএম কর্মীরা তাদের দলে যোগ দেওয়ার ফলে স্থানীয় একটি সিপিএম পার্টি অফিস ইতিমধ্যেই বিজেপির হয়ে গিয়েছে।

কেরলের প্রথম সারির বিজেপি নেতা ভিভি রাজেশ বলেন, “আগামী দিনে কংগ্রেস ও বামদল ছেড়ে হাজার হাজার কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এর ফলে আগামী দিনে এই দুই দলের বেশ কিছু পার্টি অফিস বিজেপির দখলে চলে আসবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমরা যে ফল করব তা কেরল বাসীর পাশাপাশি গোটা দেশকে চমকে দেবে।”