শুধু ক্রিকেটর যোদ্ধা নয় !
জীবনেরও !
যুবরাজ সিংহ ; ভারতবর্ষ আর ক্রিকেট এর সম্পর্ক চিরকালীন এবং এই সম্পর্ক অটুট রয়েছে ভারতবর্ষের ক্রিকেট যোদ্ধা দের এবং তাদের প্রতি দেশবাসীর ভালোবাসা ও বিশ্বাস এর জন্য । এই ক্রিকেট এর বীর র যেরোম অনবরত তাদের পারফরমেন্স দিনে দিনে ইমপ্রুভ করে আমাদের দেশ কে সমগ্র বিশ্বের দরবার এ তুলে ধরার যুদ্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেরম ই তাদের জন্য ভারতবাসীর কাছে শ্রদ্ধা দিনে দিনে বাড়ছে। তবে নক্ষত্র জেরোম চিরকাল এক জায়গায় থাকে না তার পতন সুনিশ্চিত সেরম ই একটা সময় পর এই ক্রিকেট এর যোদ্ধা দের কেউ অবসর নিতে হয়। এরম ই এক পতিত ক্রিকেট নক্ষত্র হলেন যুবরাজ সিংহ যার আজ জন্মদিন।
ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য যুবরাজ সিংহ নামটাই যথেষ্ট। মনে পড়ে যায় সেই ৬ বলে এ ৬ টা ৬ এরকথা যা এক কথায় বলতে গেলে ক্রিকেট ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ঘটনা তথা রেকর্ড ও বটে। এবং এই রেকর্ড কর্তা যে যে আমাদের দেশের অন্তর্গত টা বলতে যে গর্ব অনুভব হয় নিঃসন্দেহ জনক ব্যাপার ।
জন্ম ও পরিচয়:-


অনেকেই এই ক্রিকেটার দের খেলা বহির্ভূত পরিচয় সম্বন্ধে জানে না বা জানবার চেষ্টাও করেনা তবে আমাদের অবশ্যই এটা জানা উচিত যে ১৯৮১ সালের ১২ ই ডিসেম্বর চণ্ডীগড় এ যুবরাজ সিংহ এর জন্ম হয়। স্বভাবতই ছোট থেকে ক্রিকেট এর প্রতি তার এই ন্যাক তাকে একসময় বিশ্বের কাছে ভারত কে পেশ করবার যোগ্য মনে করে এবং ইন্ডিয়া টিম e চান্স পান ও ২০০৩ সালে দেশের হয়ে নিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন এবং শুধু ম্যাচ ই খেলা ময় একজন প্লেয়ার এর পাশাপাশি ভাইস ক্যাপটেন এর পদেও তিনি নিজের যোগ্যতা পরিচয় সবার সামনে তুলে ধরেন। ২০০৭-৮ অবধি তিনি ওয়ান ডে ইন্ডিয়ান টিম এর ভাইস ক্যাপটেন এর ভূমিকা পালন করেন। এরপর ২০১১ এর আই ICC ক্রিকেট ওয়াল্ড কাপ এ তিনি ম্যান অফ দা টর্নামেন্ট নির্বাচিত হন । এরপর তার ক্রিকেট ভবিষ্যত্ চলতেই থাকে এবং একের পর এক তার রেকর্ড বিশ্ব কে অবাক করে দেয়।
উল্লেখযোগ্য রেকর্ড সমুহ:-
তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইতিহাসের মধ্যে ৬ বলে ৬ টা ৬ মারবার ঘটনা আজও প্রত্যেক ক্রিকেট প্রেমী র মনে আছে। ইংল্যান্ড এর বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড T-20 ম্যাচ e স্টুয়ারট ব্রড কে তিনি এক ওভারে এই রান করে নাজেহাল করে দিয়েছিলেন যা তার ধ্বংসাত্মক রুপগুলির মধ্যে সর্বকালের সেরা ।
এছাড়াও অন্যান্য কৃতিত্ব র মধ্যে আছে 20-20 ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট সবচেয়ে দ্রুত অর্ধশতক পুরনো করার রেকর্ড, এবং সমস্ত T-20 ম্যাচ এ তিনি সেটি বজায় রাখতে সচেষ্ট হন ।
২০১১ এর বিশ্বকাপ এ যুবরাজ অর্ধশতক এর পাশাপাশি সেই ম্যাচ এ ৫ উইকেট নিয়ে সমগ্র দেশবাসীর মনে জায়গা করে নেন।


কথায় বলে না যার শুরু আছে তার শেষ ও আছে ! যুবরাজ সিংহ ও তার ব্যতিক্রম নয় । ২০১১ সাল নাগাদ তার জীবনে নেমে আসে সেই পতনের কালো মেঘ । ধরা পড়ে ডান ফুসফুসে ক্যান্সার । বেশ কয়েকবার কেমো থেরাপি চালনো জয় বোস্টন এবং ইন্ডিয়াঁপোলি স এ এবং অবশেষে ক্যান্সার কেউ অন্যান্য ক্রিকেট ম্যাচ এর মত জয় করে তিনি কামব্যাক করেন ।কিন্তু এইবার এ ইচ্ছাশক্তি বেশি থাকলেও বয়স তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় খেলা এবং ফিটনেস এ ঘাটতি স্পষ্ট হয় ধীরে ধীরে।
এরপর বেশ কিছু কাল ধরে তিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান এবং ক্যান্সার জয় করে ফেরবার পরেও বহু ম্যাচ খেলে যান। ২০১২ এর World T-20 তে পুনরায় অর্ধশতক বানিয়ে নিজের যোগ্যতা আরেকবার সবার সামনে স্পষ্ট করে তোলেন । এরপর ভারতের বহু আইপিএল সিজনে তাকে বিভিন্ন টিম এ তাকে খেলতে দেখা যায় । ২০১৫ সালে আইপিএল e সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসাবে দেল্লী ডেয়ার ডেভিলস এই নক্ষত্র কে নিজেদের টিম এ রাখেন।এরপর অবশেষে ২০১৯ সালে ১০ জুন তিনি সামগ্রিক ভাবে নিজের রিটায়ারমেন্ট ঘোষনা করে ফেলেন।

