নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতবর্ষের রাজনীতিতে সাম্প্রতিককালে গোরুর তাৎপর্য বেড়ে গেছে চোখে পড়ার মতো। গোরুকে ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষিতে রেখে তাতে রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করার ঘটনা দেখা গেছে বারবার। গোরুর দুধে সোনা থেকে শুরু করে ‘গো বিজ্ঞান চর্চা’, উঠে এসেছে একাধিক বিতর্কই।এই আবহেই এবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোরুর গোবর নিয়েও শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ছবিতে মুখ বরাবর লেগে রয়েছে গোবর, এদিন এমনই এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান। রাতের অন্ধকারেই যে কেউ বা কারা এই কাজ করেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এই ঘটনা নিয়ে স্বভাবতই এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দোষারোপের পালাও। গেরুয়া শিবির তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও তা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।

জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে এক বিজেপি কার্যালয়ের পাশে রাখা ছিল জয়প্রকাশ নাড্ডার একটি ফ্লেক্স। এদিন তাকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। রবিবার সকালে হঠাৎই দেখা যায় সেই ছবিতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এক তাল গোবর। সকলের নজর এড়িয়ে কারা এই কাজ করল তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছোয় পুলিশ। বিজেপির তরফ থেকে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনায় সরাসরি ভাতারের তৃণমূল নেতা দীপক ভট্টাচার্য ও তাঁর অনুচরদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাতের অন্ধকারে তৃণমূলই এই কুকর্ম ঘটিয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাতারের ব্লক যুব তৃণমূল সহ সভাপতি জুলফিকার আলির প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাছাড়া গোবর দিয়ে শুদ্ধিকরণ তো বিজেপি করে। দেখুন এটা হয়তো ওদেরই কোনো রামভক্ত হনুমানের কীর্তি হবে।”