নিজস্ব সংবাদদাতা: মাঠে এসে দাঁড়িয়ে আছেন স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু মাঠ ফাঁকা, চেয়ার পড়ে আছে খালি! আজ্ঞে হ্যাঁ, এমন দৃশ্যও দেখা গেল ভোট পূর্ববর্তী বাংলায়। দেখা গেল সেই জায়গায়, যেখানে গত লোকসভায় ফুটেছিল পদ্মফুল। ঝাড়গ্রামের ফাঁকা মাঠের সামনে অপেক্ষা করে করে শেষে চলেই গেলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

গতকাল বিজেপির রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ফের রাজ্য সফরে এসেছিলেন জে পি নাড্ডা।মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। লালগড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করে যথাস্থানে পৌঁছেও গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে রাখা অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। এমনকি সভাস্থলে এসে পৌঁছোয় নি অনুষ্ঠানের কলাকুশলীরাও। এমতাবস্থায় সর্বভারতীয় সভাপতির সামনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গেছে, প্রায় আধঘণ্টা সেখানেই অপেক্ষা করেছিলেন নাড্ডা। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হলে অবশেষে চলে যান তিনি।

এ ব্যাপারে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের মুখে অবশ্য শোনা গেছে সাফাইয়ের সুর। ঝাড়গ্রামের গেরুয়া নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আদিবাসীদের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির বিশাল মিছিলের কারণে যানজট হওয়ায় শিল্পীরা নির্দিষ্ট সময় আসতে পারেননি। শিল্পী ছাড়া তো অনুষ্ঠান হবে না।” জে পি নাড্ডার অন্য ব্যস্ততা থাকায় তাঁর পক্ষে আর বেশি অপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির জাতীয় স্তরের একজন হেভিওয়েট নেতার সভাকে ঘিরে এই ঘটনা সৃষ্টি করেছে অস্বস্তি।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। শাসকদলকে কোণঠাসা করতে তারা কোমর বেঁধে নেমেছে। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই বিপুল জনসমাগমের দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ঝাড়গ্রামের মতো এলাকায় যেখানে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে গেরুয়া ঘাঁটি মজবুত হিসেবেই মনে করা হচ্ছিল সেখানে জে পি নাড্ডাকে অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হওয়ার ঘটনা রীতিমতো বিস্ময়কর।