নিজস্ব সংবাদদাতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু রিপাবলিকান ট্রাম্পের সঙ্গে আপাত ঘনিষ্ঠ নরেন্দ্র মোদী মার্কিন মুলুকের নতুন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের শপথ গ্রহণের কয়েক দিন পর ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তাই দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। এদিন আরো একবার সামনে এল আমেরিকা ভারতের সেই সৌহার্দ্যের ছবি

হোয়াইট হাউসের মসনদে ক্ষমতার রদবদলের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের জন্য কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর প্রথম আলাপচারিতাতেই উঠে এল আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান, যৌথ প্রাধান্যসহ একাধিক আঞ্চলিক বিষয়ের কথা। এদিন জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে দুই দেশের প্রধানের মধ্যেকার সৌহার্দ্যের বার্তাও দেন তিনি।

সোমবার রাত ১১টা নাগাদ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আমার কথা হল। ওঁর ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানিয়েছি। আমরা বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা এবং আমাদের যৌথ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি।” আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়েও একে অপরকে সাহায্যের কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে অন্য একটি ট্যুইটে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন আর আমি নিয়মতান্ত্রিক শাসনে দায়বদ্ধ। আমাদের কৌশলী পার্টনারশিপের জন্য আমরা দুজনেই মুখিয়ে আছি। ইন্দো-প্রশান্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।” এদিন জো বাইডেন এবং মার্কিন মুলুকের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

উল্লেখ্য, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন জো বাইডেন। মসনদে বসার দ্বিতীয় দিনেই ভারতের প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছিল মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখে। ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ তাঁর মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৩ সালে একবার ভারতে এসেছিলেন জো বাইডেন।