নিজস্ব সংবাদদাতা: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা! তারপরই শুরু হয়ে যাবে ভোটযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই বংলায় নির্বাচনের রণডঙ্কা বেজে গিয়েছে। তার প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এরইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসা, হানাহানি, ক্রমাগত ঘটে চলা বিবাদ তো রয়েইছে। রাজ্যে প্রথম পর্বের ভোট ২৭ মার্চ। কিন্তু তার আগেই বাংলার প্রথম ভোট পড়ল ঝাড়গ্রামে। সেখানেই ভোট দিয়েছেন বছর ৮২-র এক মহিলা।

উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভায় আগামী ২৭ শে মার্চ, অর্থাৎ প্রথম দফাতেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের মোট ৮টি দল ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের বাড়িতে যাবে এবং প্রথম পর্বে ভোটের জন্য আগামী এক সপ্তাহের জন্য ভোট সংগ্রহ করবে। সূত্রের খবর, প্রায় ৫৭১৫ জন ভোটার এই জন্য আবেদন করেছেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, এবার নির্বাচন কমিশন ৮০ বছরের বেশি বয়সের বা গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ঘরে ঘরেই ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আর কমিশনের এই নিয়মের আওতায় পড়েছিলেন ঝাড়গ্রামের ৮২ বছর বয়সী বাসন্তী দেবীও। তাই তিনিও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ব্যালট বক্সে। নির্বাচন কমিশন জানায়, বাসন্তীদেবী ছাড়াও একই ওয়ার্ডের ৮০ বছরের বেশি বয়সের মোট ছয় জন নিজেদের ভোট দিয়েছেন। সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ান-সহ নির্বাচন কমিশনের একটি দল ঝাড়গ্রামের ওই মহিলার বাড়িতে পৌঁছেছিল, সেখানেই ভোট দেওয়া হয়।

কমিশন সূত্রে খবর মিলেছে যে, ৮২ বছর বয়সী এই বাসন্তী দেবী যখন ভোট দিয়েছিলেন, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওই ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাসন্তী দেবী ব্যালট পেপারে নিজের ভোট দিয়েছেন, যা সিল করা খামে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মতে, এই পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। বাসন্তীর পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী, তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না এবং এমন পরিস্থিতিতে তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন। তাই নির্বাচন কমিশন যখন এই সুবিধা দিয়েছে, তারা এর সদ্ব্যবহার করেছে।