প্রাচীনকালে মানুষ পানীয় জল সঞ্চয় করার জন্য ধাতব পাত্র ব্যবহার করত। তামার পাত্রগুলি প্রধানত জল সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহৃত হত। কপারে অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে যেমন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই কারণেই আয়ুর্বেদ এবং বিজ্ঞানও তামার জলকে মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করে।
তামা লিভার এবং কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে ডিটক্সিফাই করে। এতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীর ক্ষতিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে, যার কারণে পেটে আলসার ও সংক্রমণের সমস্যা কখনও হয় না।
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তামা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের সূক্ষ্ম রেখা ও দাগ দূর করে। এটি Free Radical থেকে রক্ষা করে ত্বকে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, সূক্ষ্ম রেখা বাড়ানোর সবচেয়ে বড় কারণ, যার কারণে আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখায়।
![তামার পাত্রে জল পান করার কিছু বিস্ময়কর উপকারিতা! 1 তামা](https://www.banglakhabor.in/wp-content/uploads/2022/05/Copper-Vessel-1-1024x629.webp)
কপার প্রকৃতিতে অলিগোডাইনামিক নামে পরিচিত। এটি খুব কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এটি বিশেষ করে E. coli এবং S. aureus ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর, যা সাধারণত আমাদের পরিবেশে পাওয়া যায় এবং মানবদেহের জন্য মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
কোষ গঠন থেকে শুরু করে রক্তাল্পতার ঘাটতি দূর করা পর্যন্ত, তামা একটি কার্যকর প্রতিকার।
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা উপশম করতে কাজ করে। আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা অবশ্যই তামার জল পান করবেন। এছাড়াও তামার জল হাড় মজবুত রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে।
যারা অল্প সময়ে ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাদের প্রতিদিন তামার পাত্রে রাখা জল পান করা উচিত। তামার পাত্রের জল হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং শরীর থেকে খারাপ চর্বি দূর করতে সাহায্য করে।
তামার জল মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতে এবং সক্রিয় রাখতে খুব সহায়ক। এর ব্যবহার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে এবং মনকে শাণিত করে।
শুধু আয়ুর্বেদ নয়, বিজ্ঞানও বলেছে তামার পাত্রে রাখা জল পান করা উপকারী। কিন্তু এই পানির পূর্ণ সুবিধা তখনই পাওয়া যায় যখন তামার পাত্রে অন্তত ৮ ঘণ্টা সেই জল রাখা হয়। এই কারণেই মানুষ রাতে তামার পাত্রে জল রাখে এবং সকালে প্রথমে এই জল পান করে।