নিজস্ব সংবাদদাতা- বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন রঙ্গ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে আজ কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি যখন জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চালাচ্ছে ঠিক সেইসময় জানা গেল এই তৃণমূল নেতার স্ত্রী রুজিরা নারুলা আসলে ভারতের নাগরিক নয়! এই চাঞ্চল্যকর খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এই বিষয়ে একটি টুইট করেন, তারপরেই সবাই গোটা ঘটনাটি জানতে পারে।

যুব তৃণমূল সভাপতির স্ত্রী বাঙালি নয় এটা অনেকেই জানত। কিন্তু তিনি যে এদেশেরই নাগরিক নন সেটা সাধারণ মানুষের এতদিন জানা ছিল না। শোনা যাচ্ছে রুজিরা আদপে থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি পড়াশোনার জন্য ২০১০ সালে ভারতে আসেন। জানা দিয়েছেন ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তিনি এর আগে দুবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আবেদন জানালে দুবারই সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।এমনকি ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার তার নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ করার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনি আর কোনোদিন ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

নাগরিকত্বের জন্য যদি আবেদন করা না যায় তবে নাগরিক হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সে দিক থেকে দেখতে গেলে রুজিরা নারুলা কোনোদিনই ভারতের নাগরিক হতে পারবেন না। এও জানা গিয়েছে তিনি নাগরিকত্বের জন্য যে দু’বার আবেদন জানিয়েছিলেন সেই দু’বার বাবার নাম দু’রকম জমা দেন! প্রথমবার লিখেছিলেন ‘নাফন নারুলা’ তার বাবা। দ্বিতীয়বার বাবার নাম উল্লেখ করেন ‘গুরসরণ আহুজা’। দুবার দু’রকম বাবার নাম নাম জমা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রতারণা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কারণেই তার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মজা করে বলছেন রুজিরা নারুলা ভারতীয় নাগরিকত্ব যদি পেয়ে যেতেন তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধী পরিবারের সঙ্গে এক আসনে বসতে পারতেন। কারণ বর্তমান কংগ্রেস সভানেত্রী তথা এদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইতালিয়ান। তিনি রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করার পর ভারতের নাগরিকত্ব পান। তেমনি রুজিরা নারুলা থাইল্যান্ডের নাগরিক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ের পর তিনি ভারতের নাগরিক হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত রাজীব গান্ধীর সঙ্গে একই আসনে বসতে পারতেন!