নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান এবং টলিউডের নায়ক যশ দাশগুপ্তের ‘গাঢ় বন্ধুত্ব’-র খবর নিয়ে কয়েকদিন আগেই তোলপাড় হয়েছিল নেটদুনিয়া। তবে সেই খবর বাসি হতে না হতেই এবার বড় চমক দিলেন যশ! বুধবার বিকেলে এই অভিনেতা যোগ দিলেন বিজেপি-তে। টলিউডে তাঁর বান্ধবী জোড়াফুলের সাংসদ। এদিকে বন্ধু পদ্মফুলে। ঘটনাচক্রে, যশের সঙ্গেই টলিপাড়ার আরও বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীও বিজেপি-তে গিয়েছেন। কিন্তু যশকে আলাদা করে মাইলেজ দিচ্ছে নুসরতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। যা বলছে, হৃদয়ের সমীকরণ আর রাজনীতির সমীকরণ একই সরলরেখা ধরে চলে না। তাই যশের যোগদানকে বিজেপি ‘চমক’ বলেই বর্ণনা করেছে। বস্তুত, কলকাতার একটি পাঁচতারায় যশের যোগদানের সময় যে হর্ষধ্বনি উঠল, তা সাম্প্রতিক কালে বিরল

বিজেপি-তে যোগ দিয়ে যশ জানিয়েছেন, তিনি আচমকা এই সিদ্ধান্ত নেননি। তাঁর কথায়, ‘‘হুট করে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম। কারণ, আমার নিজেরও বয়স খুব একটা বেশি নয়। আমি জানি, বিজেপি সবসময় তারুণ্যের উপর ভরসা রেখেছে।’’ কেন তিনি রাজনীতিতে এলেন, তার জবাবও দিয়েছেন যশ। বলেছেন, ‘‘আমাদের সমাজে ছোট ছোট বিষয়েও রাজনীতি থাকে। এমনকি, বাড়ির কাজের লোকেদের মধ্যেও রাজনীতি থাকে। রাজনীতি তো সবসময় বদলের জন্য। আর বদল আনতে গেলে সিস্টেমের ভিতর থেকেই আনতে হয়। সেইজন্যই আমি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি। আমায় বিজেপি পরিবারের সদস্য করার জন্য ধন্যবাদ।’’

এরপর যশের দাবি, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর নুসরতের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘ও একটা দলে আছে। আমি একটা দলে আছি। ও আমার বন্ধু। কিন্তু ওর-আমার বন্ধুত্বটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে।’’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমি এখনও ভালবাসি। শ্রদ্ধা করি। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগেও আমি ওঁকে বার্তা পাঠিয়ে আশীর্বাদ চেয়েছি। ওঁকে আমার প্রণাম।’’

উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপি-র দুই শীর্ষনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান যশ দাশগুপ্ত। যদিও যশের বিপক্ষ শিবিরে যোগদান সম্পর্কে নুসরতের কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে যশের কথায়, ‘‘আমি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি। অনেক আলোচনার পরেই যোগ দিয়েছি। তাই আমি অন্য কোনও দলের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমার মনে হয়, আমি এই দলে থেকে কাজ করতে পারব। আমি কাজ করে জবাব দিতে চাই। নিন্দা করে নয়। কোন পার্টিতে গরু চুরি হচ্ছে বা কয়লা চুরি হচ্ছে, সেটা বলা আমার কাজ নয়। আমরা কাজ মানুষের পাশে থাকা। আমরা পশ্চিমবঙ্গে যা যা বদল আনতে চাই, আমি মনে করি এই দলে থেকে থেকে সেই বদলটা আনতে পারব।’’