নয়া চাবিকাঠির ঘোষণা করেন ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার দিন (15th August) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কি সেটা জানতে হলে পড়তে হবে আজকের এই খবর–
চাবিকাঠি? ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বেশ কিছু নয়া নীতির উল্লেখ করেন, যা পালনের দায়ভার সমগ্র ভারতবাসীর উপর নির্ভরশীল। এই নয়া নীতিগুলির পালনে ভারতবর্ষের অর্থনীতির উন্নতি হবে বলেই প্রধানমন্ত্রী দাবী করেন।
৭৪ তম স্বাধীনতার দিন পতাকা উত্তোলনের পর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী স্বজাত্যবোধের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন ভারতবর্ষের মানুষের এখন নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে বেশি দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
“মেক ইন ইন্ডিয়া” ও “মেক ইন ওয়ার্ল্ড” ছিল তার বক্তব্যের মূল আকর্ষণ। সাথে সাথে তিনি ভারতবর্ষের সকল নাগরিককে “আত্মনির্ভর” হওয়ার কথাও বলেন।
স্বদেশের তৈরি জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া, স্বদেশে তৈরি জিনিস বিদেশে রপ্তানি না করা, ব্যবহৃত জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করা, প্রয়োজনের জিনিস নিজেরাই তৈরি করে নেওয়া এসবই ছিল প্রধানমন্ত্রীর চাবিকাঠি।
- ব্যবহারের জিনিস হোক “মেড ইন ইন্ডিয়া”
- “আত্মনির্ভর ভারত” হোক সমগ্র জাতির মন্ত্র
- ছোট ব্যবসায়ীদের আরও বেশি অগ্রাধিকার
- কৃষিজ ও অন্যান্য কাঁচামাল দেশের মধ্যে রেখেই তা কাজে লাগানো
- প্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানি হ্রাস
“A few months back we used to import N-95 masks, PPE kits and ventilators. Today India is not only meeting its own requirements but it has also stepped forward to help other countries” ,Prime Minister quoted it.
https://researchchoices.org/covid19/findings/report/169/vocal-for-local-is-india-ready
করোনাকালে আমরা স্বনির্ভরতার যে নয়া গুরুত্ব উপলব্ধি করেছি তা উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রী তার এই বক্তব্যে আস্থা রাখার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি ও জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ কার্যকরী হবার দাবী করেন। কিন্তু বাস্তবে অর্থনীতিবিদরা যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা এই দাবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তাদের যুক্তি হল দেশীয় শিল্পপতিরা বর্তমানে নতুন করে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নন। বিদেশী শিল্পপতিরাও এদেশে বিনিয়োগ করছেন না এই মুহূর্তে। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র স্বনির্ভরতার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি উন্নতি ও জিডিপি বৃদ্ধি যথেষ্ট কঠিন এবং সমস্যারও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য একথাও উল্লেখ করেন যে এই পথে হাজার সমস্যা আসবে কিন্তু তার লক্ষ সমাধানও পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নয়া ভাবনা বাস্তবে কতটা রদবদল ঘটাবে ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের অন্দরে সেটাই দেখার। এই নীতি সরকারে বজায় থাকার চাবিকাঠি না ভারতবর্ষের হিতকারক তা সময়ই বলবে। কোন ব্র্যান্ড দেশের আর কোনটা বিদেশের তার সম্পর্কিত তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে সাধারণের সুবিধার জন্য। যেখানে ভারতবাসীর সচেতনতার জন্য স্বদেশের ব্র্যান্ডগুলিকে নতুন করে প্রচারও করা হয়।
সরকার থেকে যে যে প্রকল্প ঘোষণা করা হয় তাঁর বাস্তব রূপায়ণের চিত্রটা প্রায় সময়ই অর্ধ-সম্পন্ন। বছরটা যখন আর পাঁচটা ভছরের মতন নয় তখন এই প্রকল্প কতটা ভিন্ন হবে সেটাও দেখার। এরকম আরও খবরের জন্য পড়তে থাকুন বাংলা খবর।