নিজস্ব সংবাদদাতা- অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। সরকারি দীর্ঘসূত্রিতার পর্ব পেরিয়ে এবার সাধারন মানুষ চাহিদামতো বাজার থেকে করোনার টিকা কেনার সুযোগ পেতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়টি আজ পরিষ্কার করে দেন। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যাদের পকেটের জোর আছে তারা বাজার দরে টিকা কেনার সুযোগ পাবেন। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ব্যবস্থাটিও একইসঙ্গে চালু থাকবে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে দেশের সিনিয়র সিটিজেনরা আপাতত এই সুযোগ পাবেন। ষাট বা তার বেশি বয়সীরা সরকারি ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে বা বাজার থেকে টিকার ডোজ কিনে নিয়ে টিকাকরন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। যেহেতু করোনা টিকার একটি ডোজ আলাদা করে কিনতে পাওয়া যায় না তাই আপাতত বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে গিয়ে এই টিকা নিতে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষকে বাজারদরে টাকা দিয়ে টিকাকরন করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল সূত্রে খবর।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে যাদের কোমরবিডিটি থাকবে তারাও এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারবে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই পর্যায়কে টিকাকরণের তৃতীয় ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এটা পরিস্কার হল তরুণ প্রজন্মকে করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

এখন‌ও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বাজারে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভ্যাকসিন, এই দুটি টিকাই কিনতে পাওয়া যাবে। যদিও দেশবাসীর একাংশ ফাইজারের তৈরি করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহী। কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ফাইজার ও রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই দুটি ভ্যাকসিন ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের ছাড়পত্র পায়নি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত টিকাকরন প্রক্রিয়া ‘ওপেন টু অল’ করে দিলেও কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হলেও বজায় রাখা জরুরি। যাতে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি না হয়।