পঞ্চায়েতের কাজের নামে কি চলছে দুর্নীতি?

জাতীয় সড়কের পাশেই সুন্দর একটি উদ্যান। সোলার হাই মাস্ক লাইট, পাশেই মন্দির তার পাশে সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ যার নামকরণ খোদাই করা হয়েছে, ‘ উত্তম স্মৃতি মঞ্চ ‘। বাঁকুড়ার জগদল্লা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত চার বছর ধরে এইসবের নির্মাণকাজ চলেছে। উদ্যানের নাম দেওয়া হয়েছে পঞ্চবটি উদ্যান।

১ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হয়েছে পার্ক, সোলার হাই মাস্ক লাইট লাগাতে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। রাস্তা ঢালাইয়ের কাজে খরচ হয়েছে আরও ২ লক্ষ টাকা। মুক্ত মঞ্চের জন্য খরচ হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। তার পাশের শ্মশানেরও সংস্কার হয়েছে। কিন্তু সেই অঞ্চলেই আবার বিভিন্ন স্থানে জলের অভাব, রাস্তাঘাটের দুর্দশা পরিলক্ষিত হয়। পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যাই এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। বিজেপি এই বক্তব্যে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।

পঞ্চায়েত

স্থানীয় বাসিন্দাদেরও একই বক্তব্য। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ” প্রধান নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। নিজের দিকের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করছে, পঞ্চবটির দিকে কাজ করছে। ব্যক্তিগত নামের একটা কাজ হয়েছে ” । আরেকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, ” সরকারি টাকায় মুক্তমঞ্চ হয়েছে কিন্তু তা নিজের বাবার নামে করেছে তৃণমূল নেতা মধুসূদন ডাঙ্গর। পঞ্চায়েতের সমস্ত অঞ্চলে কাজ না করে শুধু পঞ্চবটি তেই সমস্ত টাকা ঢুকিয়েছে। এটা একটা বড় রকমের দুর্নীতি “।

অভিযোগ পেয়ে বিডিও সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। উনি বলেছেন অভিযোগ পত্র পঞ্চায়েতকে পাঠানো রয়েছে। তিনি পঞ্চায়েতের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত প্রধান এই অভিযোগে একেবারেই সম্মতি প্রদর্শন করেননি। জগদল্লা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান ছবি ঘোষ জানিয়েছেন, এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল অভিযোগ। পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকায় কাজ হচ্ছে। পঞ্চবটি বা কোনও নির্দিষ্ট এলাকাতেই শুধু কাজ হচ্ছেনা। NRGS, ফর্টিন সবেতেই কাজ হয়েছে। তৃণমূল নেতা মধুসূদন ডাঙ্গর জানিয়েছেন, ” কোনওকিছুই অবৈধ নয়। সমস্ত কিছুর জন্য টেন্ডার পাস করা হয়েছে। তাই এইসমস্ত অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে ” ।