নিজস্ব সংবাদদাতা- একে কি বলা যায় সর্ষের মধ্যে ভূত, নাকি বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা? প্রবাদ যাই ব্যবহার করা যাক না কেন, একটু পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে কোকেন রাখার দায়ে ধৃত বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সাধারন সম্পাদক পামেলা গোস্বামীর সঙ্গে মাদকের যোগাযোগ খুব একটা নতুন নয়। জানা গিয়েছে প্রায় বছর খানেক আগে তার বাবা এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে। সেই চিঠিতে তিনি লালবাজারের পুলিশকর্তাদের অনুরোধ করেন তার মেয়ের ওপর যেন নজরদারি চালানো হয়।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে পামেলা গোস্বামীর বাবা প্রায় এক বছর আগে লালবাজারে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তার মেয়ে অসৎ সঙ্গে পড়ে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। এই বিষয়ে তিনি কোকেন কান্ডের আরেক অভিযুক্ত প্রবীর কুমার দের দিকে আঙ্গুল তোলেন। তার অভিযোগ পামেলার এই সঙ্গীই তাকে ভুল পথে নিয়ে গিয়েছে। সেই চিঠিতে এই বিজেপি নেত্রীর বৃদ্ধ বাবার অসহায় আর্তির কথা ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে।

তবে পামেলা গোস্বামীর বাবার চিঠি পাবার পরই লালবাজার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি এই অভিনেত্রীর বাবার চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত। সম্ভবত সেই সময় থেকেই তিনি মাদক নেওয়ার পাশাপাশি তা সরবরাহ করার ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন। কলকাতা পুলিশ খতিয়ে দেখছে এটি সম্পূর্ণভাবে পামেলা গোস্বামীর নিজস্ব চক্র ছিল, নাকি তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে গোটা বিষয়টি চালাতেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি গোটা বিষয়টি চালিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বিজেপির আরও কিছু নেতাকর্মী আটক হতে পারেন বলে খবর।

বিজেপি সূত্রে খবর যুব মোর্চার এরকম একজন শীর্ষ পদাধিকারী কোকেন কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ফলে রাজ্যের শীর্ষ নেতারা মারাত্মক ক্ষুব্ধ। বিধানসভা ভোটের আগে এইরম কান্ড ঘটায় তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এর আগেও বিজেপির নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে নারী পাচার, শিশু পাচারের মতো একাধিক অভিযোগ ওঠে। এখন দেখার গেরুয়া শিবির কিভাবে এই অভিযোগের মোকাবিলা করে।