নিজস্ব সংবাদদাতা: মূল্যবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে আজ আরও মহার্ঘ্য হল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানির দাম আজ একশোর গণ্ডি পার করায় কেন্দ্রের মোদী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। তারই পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে পূর্বতন সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। মোদীর এমন দাবিতে অবাক ওয়াকিবহাল মহল।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সরাসরি পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির কথা এদিন মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু কী বিষয়ে তাঁর বক্তব্য তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তামিলনাড়ুতে গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়েই মোদী বলেন, পূর্বতন সরকারগুলি দেশের শক্তিক্ষেত্রে আমদানি কম করার দিকে নজর দিলে এই অবস্থা হত না। ভারতকে যে শক্তিক্ষেত্রে আমদানির উপরেই অনেকটা নির্ভর করতে হয়, তা বোঝাতে ২০১৯-২০ সালে দেশের প্রয়োজনীয় ৮৫ শতাংশই এবং গ্যাসের ৫৩ শতাংশই আমদানি করতে হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তারপরই দেশের পূর্বতন সরকার তথা কংগ্রেসের দিকে নিশানা করে মোদী বলেন, “আমাদের কি আমদানির উপর এতটা নির্ভরশীল হওয়া উচিত? আমি কারও সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু এটা অবশ্যই বলতে চাই যে আগে এ বিষয়ে নজর দেওয়া হলে আজ মধ্যবিত্তকে এই বোঝা বহন করতে হত না। তাই শক্তিক্ষেত্রে নির্ভরতা কমানোকে আমরা অবশ্য কর্তব্য বলেই মনে করছি।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে নাম না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কিছু স্থানে ইতিমধ্যেই ১০০ ছুঁয়েছে পেট্রোল। অন্য জায়গাগুলিতে ৯০-এর গণ্ডিতেই ঘোরা ফেরা করছে দাম। এপ্রিল-মে তে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম খুব কমেছিল, তখন সরকার করের বোঝা চাপিয়ে দেয়ে পেট্রোলের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের জন্য। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। কিন্তু সরকার এই অপ্রত্যক্ষ কর কমায়নি। ফলে চড়চড় করে বাড়ছে দাম। সবমিলিয়ে পেট্রোলের যে খুচরো দর, তার ৬০ শতাংশ হল রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানো সেস।