প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। জেনে নিন সেরা দের সম্মন্ধে

দুবছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল মাধ্যমিক। সেই প্রকোপ কিছুটা হ্রাস পেতেই ২০২২ সালের ৭ ই মার্চ থেকে শুরু হয়ে যায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার। আজ ৭৯ দিনের মাথায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৬৯৩ পেয়ে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘোড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল। কলকাতা থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন শ্রুতর্ষী ত্রিপাঠী। তার মোট নম্বর ৬৯০। তিনি মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন।

পূর্ব মেদিনীপুরে সাফল্যের হার সর্বাধিক। ৯৩.৬৩ শতাংশ। মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে হুগলির সাগ্নিক দেও। তারও প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। হুগলী কলিজিয়েট স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক। বাবা সঞ্জীব দে হুগলী কলিজিয়েট স্কুলেরই ভূগোলের শিক্ষক। মা শম্পা দে, গৃহবধূ। বাড়ি চন্দননগর ডুপ্লেক্স পট্টি রথের সড়ক। প্রিয় সাবজেক্ট বায়োলজি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় সাগ্নিক। প্রতিদিন নিয়ম করে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করত সাগ্নিক। পড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে সাগ্নিক। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস সাগ্নিকের। ব্যোমকেশ, ফেলুদার গল্প পড়তে বেশি ভালো লাগে।

দাদা দীপ্তাংশু পাল ২ নম্বরের জন্য প্রথম দশে ঢুকতে পারেনি। বোন বৃষ্টি সেই খামতি পুষিয়ে দিল। বৃষ্টি চুঁচুড়া বালিকা বানীমন্দিরের ছাত্রী। এবার মাধ্যমিকে ৮ ম হয়েছে।তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। দাদা ডাক্তারী পড়ছে এনআরএস হাসপাতালে। বৃষ্টির ভালো লাগে ফিজিক্স। তবে আগামী এখনো লক্ষ ঠিক করেনি সে। ভালো ফল হবে আশা ছিল তাদের তবে একেবারে প্রথম দশে এতটা ভাবেনি। বাবা অমিতাভ পাল হুগলি কলিজিয়েটের শিক্ষক। মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে কোনোদিন ভাবতে হয়নি বলে জানান। মা সুদীপা পাল গৃহবধু।তিনি জানান মেয়ের যেটা ভালো লাগবে সেটাই করবে ওকে কোনো জোর করিনা।গান করে আঁকতে ভালোবাসে চুঁচুড়া ধরমপুরের বাসিন্দা বৃষ্টি।

মাধ্যমিক

সৌরদ্বীপ গুছাইত চন্দননগর অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। ১০ ম হয়েছে। চুঁচুড়া ধরমপুরে বাড়ি তার।বাবা এলআইসি এজেন্ট। মা গৃহবধু।জয়নগর থানার মজিলপুর জে এম ট্রেনিং স্কুলের অপূর্ব নস্কর মাধ্যমিকের সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। বড়ো হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে।বাবা ফাল্গুনী নস্কর পেশায় সামান্য বীমাকর্মী । সেই উপার্জনের ওপর ভর করেই ছোট থেকেই পড়াশোনা করে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছে জয়নগর থানা এলাকার মজিলপুর জে এম ট্রেনিং স্কুলের মেধাবী ছাত্র অপূর্ব নস্কর। ছেলে ভালো ফলাফল করতে পারে সেই কারণেই বাবা ও মা দু’জনেই বরাবরই আশাবাদী ছিলেন।

সেই অবস্থায় শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরপরই জানা যায় যে অপূর্ব ভালো ফল করেছে তো বটেই একেবারে প্রথম দশের মেধা তালিকার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই খুশি নস্কর পরিবারl অপূর্বর মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর হলো ৬৮৭ । স্বাভাবিক কারণেই ছেলের পরিশ্রমের পর সার্থকতা মেলায় দারুন উৎফুল্ল নস্কর দম্পতি । এদিকে কৃতি ছাত্র অপূর্ব জানিয়েছে সে আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চায়।